মসজিদে মহিলাদের যদি পৃথকভাবে নামাযের ব্যবস্থা থাকে, তাহলে মহিলাগন জামা‘আতের সাথে তারাবীহের নামায আদায় করতে পারবে কি- না?
- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -
মেয়েদের জন্য যথাসম্ভব গোপনস্থানে ও অন্দর মহলে অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে নামায পরার মধ্যে সাওয়াব বেশী। হুজুর c বলেন- একজন মেয়ে লোকের জন্য ঘরে নামায পড়া বারান্দায় নামায পড়ার চেয়ে উত্তম এবং ঘরের ভিতর ছোট হুজরার মধ্যে নামায পড়া ঘরের সাধারন অংশে নামায পড়ার তুলনায় অধিক পছন্দনীয়।(আবু দাঊদ শরীফ)
অন্য এক হাদিসে এসেছে মেয়েদের জন্য জামা‘আতে নামায পরার চেয়ে একা নামায পড়ায় ২৫ গুন বেশী সাওয়াব রয়েছে। নিজের ঘরে বেশী সাওয়াব হওয়ার পর মহিলাদের জন্য মসজিদে যাওয়ায় সোন্দর্যের প্রদর্শনী ছাড়া আর কোন প্রয়োজন থাকতে পারে? হুজুর c এর যুগে যদিও মেয়েদের দ্বীনের নিত্য নতুন হুকুম- আহকাম শিক্ষা করার জন্য কঠোর শর্ত – শারায়েতের সাথে মসজিদে হাজির হয়ে জামা‘আতের সাথে নামায পরার অনুমতি ছিল। কিন্তু হুজুর c - এর ইন্তেকালের পরে ধীরে- ধীরে যখন ফেতনা- ফাসাদ বৃদ্ধি পেতে লাগল। তখন হযরত উমর e মেয়েদেরকে মসজিদে যেতে নিষেধ করে দিলেন। হযরত আয়েশা e -এর নিকট এই অভিযোগ করা হলে তিনি বললেন হযরত উমর e যে অবস্থার প্রেক্ষিতে মহিলাদের মসজিদে যাওয়া নিষেধ করেছেন হুজুর c যদি এই অবস্থা দেখতেন তাহলে তিনিও মহিলাদেরকে মসজিদে যেতে নিষেধ করতেন। (আবু দাঊদ শরীফ) এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ফুক্বাহায়ে ক্বিরামের অভিমত হলো সকল শ্রেণীর মহিলাদের জন্য মসজিদে নামায পড়তে যাওয়া মাকরূহে তাহরীমী। চাই তা ফরয নামাযের জন্য হোক বা জুম’আ অথবা তারাবীহের জন্য হোক।
অতএব, মহিলাদের জন্য একাকী ভাবে ঘরেই তারাবীহ পড়া উত্তম। মসজিদে যাওয়ার কোন অনুমতি নাই। মসজিদে যাওয়া তাদের জন্য ফ্যাশন ছাড়া আর কিছুই নয়। কারন অধিক সাওয়াব যদি তাদের উদ্দেশ্য হয়, তাহলে মসজিদের তুলনায় ঘরের অন্দর মহলে নামায আদায় করা তাদের জন্য বেশী উপযুক্ত।
- والله اعلم باالصواب -