নামাযে কুরআন তিলাওয়াতে আজেবাজে চিন্তা আসলে করণীয়

ইসলামী জিন্দেগীনামায২২ ফেব, ২১

প্রশ্ন

আমি একজন মাদরাসার ছাত্র। আমি যখন নামায পড়ি এবং কুরআন তিলাওয়াত করতে বসি, তখন আমার মনে আজেবাজে কথা স্মরণ হয়। মন অন্যদিকে চলে যায়। আমি এ অবস্থায় কি আমল করতে পারি?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

নামাযের মধ্যে বা কুরআন তিলাওয়াত সময় মনে আজেবাজে চিন্তা আসা বা মন এদিক-সেদিক ছুটে যাওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। অনেকেরই এমন অবস্থা হয়। তবে এ সময় মনকে ধরে এনে আবার নামাযে বা তিলাওয়াতে বসাতে পারলে, পরিপূর্ণ নামাযের সাওয়াব পাওয়া যায়। কুরআন তিলাওয়াতের সময় মনকে স্থির রাখার উপায় হল- তিলাওয়াতের শুরুতে পাক-পবিত্র অবস্থায় মিসওয়াক ও উযু করবে। গোলমাল শূন্য নীরব স্থানে কিবলামুখী হয়ে নামাযে বসার ন্যায় আদবের সাথে বসে প্রথমে কয়েক বার দরুদ শরীফ পড়ে আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পুরা পড়ে তিলাওয়াত শুরু করবে। অন্তরে কালামে পাকের মাহাত্ম্য সম্বদ্ধে এ চিন্তা করবে যে, মহান সর্বশক্তিমান আল্লাহ তা‘আলারই এ কালাম। অর্থ না বুঝলেও প্রতি অক্ষরে ১০টি করে নেকী পাবে এবং নিজের কান দু’টিকে একনিষ্ঠ করে নিবে। মনে করবে যে, আল্লাহর আদেশে কুরআন পাঠ করে তাকে শুনাইতেছি। সুতরাং সুন্দর আওয়াজ, তাজবীদের সাথে তিলাওয়াত করবে। এভাবে তিলাওয়াত করলে আশা করা যায়, মন স্থির থাকবে।

আর নামাযের মধ্যে মন স্থির রাখার জন্য উপায় হল- নামাযের তাকবীর তাহরীমা বলার সময় আল্লাহ তা‘আলার আজমত ও মহত্বের কথা খেয়াল রেখে তাকবীরে তাহরীমা বলবে এবং মনে মনে খেয়াল করবে যে, সব কিছু থেকে আমার আল্লাহ বড়। সুতরাং তার খেয়াল ছেড়ে কম দামী বা আজেবাজে জিনিসের চিন্তা চরম নির্বুদ্ধিতা। অতঃপর ক্বিরাআত, রুকূ, সিজদা ইত্যাদি খু্বই মনোযোগ সহকারে ঠিক মত আদায় করবে। যা কিছু মুখে পড়বে, সেদিকে খুবই খেয়াল রাখবে। আর যদি ইমামের ক্বিরাআত না শুনা যায়, তাহলে দিলে দিলে সূরা ফাতিহা আওড়াতে থাকবে। এতেও নামাযের মধ্যে একাগ্রতা সৃষ্টি হয়। উল্লেখ্য, নামাযে ও তিলাওয়াতে একাগ্রতা সৃষ্টি করতে গুনাহ তরক করা কর্তব্য। বিশেষ করে বদনেগাহীর (কুদৃষ্টির) অভ্যাস থাকলে, তা ত্যাগ করা জরুরী।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • শামী, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৫৪৬

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২২ ফেব, ২১