অশুদ্ধ কিরাত দিয়ে নামাজ পড়া

মাসিক আল কাউসারনামায২৪ মার্চ, ২১

প্রশ্ন

আমি শৈশবে গ্রামের বাড়িতে কাচারি ঘরের হুজুরের কাছে কুরআন তিলাওয়াত শিখেছিলাম। অতঃপর গত চার-পাঁচ বছর ঢাকায় সহীহ নূরানী পদ্ধতির সাথে পরিচিত হয়ে উক্ত পদ্ধতিতে কুরআন তিলাওয়াত করতে শিখি। এরপর হতে নামাযে ও নামাযের বাইরে নূরানী পদ্ধতিতে কুরআন তিলাওয়াত করি। আমি বুঝতে পারছি যে, পূর্বের পদ্ধতি অশুদ্ধ ছিল। এখন আমার প্রশ্ন এই যে, পূর্বের পদ্ধতিতে আমি যে তেলাওয়াত করেছি সে বিষয়ে আমার কী করণীয়? সেভাবে পড়ার কারণে আমার নামায কি নষ্ট হয়েছে? জানালে উপকৃত হব।

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

নামায সহীহ এবং কবুল হওয়ার জন্য বিশুদ্ধ তিলাওয়াত জরুরি। সুতরাং অন্তত ফরয কিরাত পরিমাণ শুদ্ধ তিলাওয়াত শেখা ফরয। তবে যে বিশুদ্ধ কিরাত জানে না তার জন্য সহীহ-শুদ্ধ তিলাওয়াত শেখার আগ পর্যন্ত হুকুম এই যে, সে যতটুকু জানে তা দিয়েই নামায পড়তে থাকবে। আর যথাসাধ্য দ্রুত শুদ্ধ তিলাওয়াত শিখে নিবে। এক্ষেত্রে পূর্ণ শুদ্ধ হওয়া পর্যন্ত যত নামায পড়া হয়েছে তা যেহেতু তখনকার সামর্থ অনুযায়ী পড়া হয়েছে তাই তা আদায় হয়ে গিয়েছে বলে ধর্তব্য হবে। পরবর্তীতে কিরাত শুদ্ধ হওয়ার পর সেগুলোর কাযা করা জরুরি নয়। তবে বিশুদ্ধ তিলাওয়াত শেখার চেষ্টা অব্যাহত রাখা জরুরি। অন্যথায় গুনাহ হবে। অতএব আপনার পূর্বের নামাযগুলো আদায় হয়েছে বলে ধর্তব্য হবে।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • ফাতাওয়া হিন্দিয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৭৯
  • রদ্দুল মুহতার, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৫৮১
  • ইমদাদুল ফাতাওয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১৬২

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২৪ মার্চ, ২১