নামায ফাসিদ হওয়ার কারণ হিসেবে যে আমলে কাসীরের কথা বলা হয় সেই আমলে কাসীরের সংজ্ঞা ও পরিমাণ কি?
- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -
নামাযরত ব্যক্তির এমন কোন কর্ম- যা নামায পরিপন্থী তা দু’ভাগে বিভক্ত (ক) পরিমাণে সামান্য- যাকে শরী‘আতের পরিভাষায় ‘আমলে কালীল’ বলা হয়। (খ) পরিমাণে বেশী যাকে ‘আমলে কাসীর’ বলা হয়। নামাযের অভ্যন্তরের কোন কর্ম আমলে কাসীর বলে সাব্যস্ত হলে নামাযীর নামায সর্বসম্মতিক্রমে ভঙ্গ হয়ে যায়।
আমলে কাসীরের পরিমাণ নির্ণয়ের বেলায় ফিকাহবিদগণের মধ্যে মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মতানুযায়ী আমলে কাসীর বলা হয় এরূপ কর্মকে, যে কর্মের কর্মরতকে নামাযের বাহির থেকে অবলোকনকারীর নিশ্চিত ধারণা জন্মে যে, সে নামাযরত অবস্থায় নেই। এ ধরনের কর্ম দ্বারা তার নামায নষ্ট হয়ে যাবে। আর তাকে নামাযরত বলে যদি ধারণা হয়, তাহলে একে আমলে কাসীর বলা হবে না, বরং আমলে কালীল বলা হবে। তাতে নামায নষ্ট হয় না।
- والله اعلم باالصواب -