নামাজে হাসলে যদি পাশের মানুষ শুনতে পায় দ্বিতীয় কাতারের মানুষ শুনতে না পায়

মাসিক আল কাউসারনামায১৮ ডিসেম্বর, ২৩

প্রশ্ন

কিছুদিন আগে এশার নামায পড়ার সময় কোনো কারণে প্রচন্ড হাসি আসে। হাসি চেপে রাখতে গিয়ে হাল্কা একটু আওয়ায হয়। আমি মনে করছিলাম যে, আওয়াজটি শুধু আমি নিজেই শুনেছি কিন্তু পাশের ভাই বলে উঠলেন, যান ওযু করে আসেন, আমি আপনার হাসির আওয়াজ শুনেছি। তখন আমি ওযু করে পুনরায় নামায পড়ি। জানতে চাচ্ছি, এতটুকু হাসির কারণে ওযু করা ঠিক হয়েছে কি?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী যদি আপনার হাসির শব্দ শুধু পাশের ব্যক্তিই শুনতে পেয়ে থাকে এবং তা এত জোরে না হয়ে থাকে যে, পিছনের কোনো মুসল্লি শুনতে পায়, তাহলে আপনার জন্য শুধু নামায পুনরায় পড়ে নেয়াই যথেষ্ট ছিল। কারণ যে হাসির শব্দ পিছনের কাতারের মুসল্লি শুনতে পায় না তা দ্বারা ওযু নষ্ট হয় না; তবে নামায নষ্ট হয়ে যায়। অবশ্য আরো উঁচু শব্দে হেসে থাকলে আপনার ওযু নষ্ট হয়ে গেছে। এমনটি হয়ে থাকলে আপনার ওযু করা ঠিক হয়েছে। এ তো গেল ওযু-নামায নষ্ট হওয়া-না হওয়ার বিষয়। কিন্তু নামাযে হাসা যে অন্যায় কাজ তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। নামায খুশু-খুযু ও একাগ্রতার সাথে পড়া উচিত। নামাযের মধ্যে হাসা গাফলতের পরিচয়।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • কিতাবুল, পৃষ্ঠা: NaN
  • ইমাম আবু, পৃষ্ঠা: NaN
  • বর্ণনা, পৃষ্ঠা: ১৩৫
  • সারাখসী, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৭৭
  • আলমুহীতুল বুরহানী, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ২১০
  • মুখতারাতুন নাওয়াযিল, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ২১৩
  • শরহুল মুনয়া, পৃষ্ঠা: ১৪৩
  • রদ্দুল মুহতার, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১৪৫

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ১৮ ডিসেম্বর, ২৩