মাযূরের সংজ্ঞা ও হুকুম

ইসলামী জিন্দেগীপবিত্রতা২২ ফেব, ২১

প্রশ্ন

(ক) আমি একজন পাইলসের রোগী। মাঝে মাঝে আমার এরূপ হয় যে উযু করার পর পায়খানার রাস্তা দিয়ে সামান্য হাওয়া বের হয়ে যায়। এমতাবস্থায় আমি মাযূর হিসেবে গণ্য হব কি-না? এবং উক্ত উযু দ্বারা নামায আদায় করা জায়িয হবে কি-না?

(খ) আর যদি আমি মাযূর হিসেবে গণ্য হই, তাহলে ফজরের উযু দ্বারা ইশরাকের নামায ও কুরআন তিলাওয়াত জায়িয হবে কি-না? শরী‘আতের দৃষ্টিতে মাযূরের সংজ্ঞা কি?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

(ক) উযু করার পর মাঝে মাঝে পায়খানার রাস্তা দিয়ে সামান্য হাওয়া বের হলে সে মাযূর হিসেবে গণ্য হবে না এবং একবার উযু করার পর হাওয়া বের হলে উযু দ্বারা তার পক্ষে পুরো ওয়াক্তের নামায পড়া সহীহ হবে না। বরং বায়ু ‍নির্গত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুনভাবে উযু করে নামায আদায় করতে হবে।

(খ) মাযূর ব্যক্তি ফজরের উযু দ্বারা ইশরাকের নামায ও কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবে না। তবে সে একবার উযু করে ওয়াক্তের মধ্যে সবরকমের নামায পড়তে ও তিলাওয়াত করতে পারবে।

মাযূর হওয়ার জন্য শর্ত হল, যে কোন ফরজ নামাজের পূর্ণ সময়ের মধ্যে এতটুকু সময় পবিত্র হওয়ার সুযোগ না পাওয়া, যাতে উযু করে ফরয নামায আদায় করা যায়, তাহলে এমন ব্যক্তিকে মাযূর হিসেবে গণ্য করা হবে এবং এমন ব্যক্তি এক উযু দ্বারা ওয়াক্তের মধ্যে ফরজ ও নফল নামায ও তিলাওয়াত যত ইচ্ছা আদায় করতে পারবে। তবে যখন ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাবে অথবা ওয়াক্তের মধ্যে নির্দিষ্ট ওজর ছাড়া উযু ভঙ্গের অন্য কোন কারণ পাওয়া যাবে, তখন তার উযু নষ্ট হয়ে যাবে। উল্লেখ্য যে, একবার মাযূর হওয়ার পর উক্ত ওযর পরবর্তী ওয়াক্তে কেবলমাত্র একবার দেখা দেওয়াই যথেষ্ট। পূর্ণ সময় দেখা দেয়া জরুরী নয়। তবে উক্ত ওজর যদি পূর্ণ ওয়াক্তের মধ্যে একবারও দেখা না দেয় তাহলে তখন থেকেই সে আর মাযূর ‍থাকবে না।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • দুররে মুখতার, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৩০৫
  • হিদায়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৬৭
  • আহসানুল ফাতাওয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৭৫

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২২ ফেব, ২১