জনৈক ইমাম সাহেব কাপড়ের ব্যবসা করেন। তার দোকানে মহিলাদের পোষাকাদি পাওয়া যায়। যার কারণে মহিলাদেরকে দোকানে আসা-যাওয়া করতে দেখা যায়। সে ব্যবসার স্বার্থে মহিলাদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ, কথা-বার্তা ও টাকা-পয়সার আদান-প্রদান করে থাকেন। এমতাবস্থায় উক্ত ইমাম সাহেবের ব্যাপারে শর‘ই ফায়সালা কি?
- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -
মসজিদের ইমাম মুত্তাকী ও পরহেযগার আলিম হওয়া জরুরী। অবশ্য তিনি যদি নিজের দৃষ্টি হিফাযত করে মহিলাদের সাথে প্রয়োজনীয় জরুরী কথা বলেন তাহলে তিনি ফাসিক হবেন না। কিন্তু কোন ইমাম যদি বেগানা যুবতী মেয়েদের সাথে পর্দা রক্ষা না করে খোলা-খুলি দেখা সাক্ষাৎ করেন, বেপর্দাভাবে কথাবার্তা বলেন তাহলে তিনি ফাসিক বলে গণ্য হবেন। আর ফাসিকের জন্য খালিস দিলে তাওবা না করা পর্যন্ত ইমামতী করা এবং মুসল্লীদের জন্য তার পিছনে নামায পড়া মাকরূহে তাহরীমী হবে। ফাসিক ব্যক্তিকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ দান করা বা ইমাম হিসেবে বহাল রাখা মসজিদ কর্তৃপক্ষের জন্য জায়িয হবে না।
এমতাবস্থায় মসজিদ কমিটির জন্য জরুরী যে, উক্ত ব্যক্তি তাওবা করতঃ তাওবার আলামত প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ উল্লেখিত পাপ কাজ সম্পূর্ণভাবে পরিহার পূর্বক তার চাল-চলনে ও আচার-ব্যবহারে খোদাভীতি পরিলক্ষিত না হওয়া পর্যন্ত তাকে ইমামতী থেকে দূরে রাখা। খালিস তাওবা করলে তাকে ইমাম পদে রাখতে চাইলে রাখা জায়িয হবে। (প্রকাশ থাকে যে, মসজিদ কমিটির জন্য জরুরী তারা তাদের মসজিদের ইমাম সাহেবকে এই পরিমাণ বেতন দিবে, যার দ্বারা ইমাম সাহেব সুন্দরভাবে তার পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতে পারেন। আর যদি কোন ইমাম সাহেবের দোকান থাকে, তাহলে তার জন্য জরুরী যে, তিনি দোকানে না বসে অন্য কোন লোক দিয়ে তা পরিচালনা করবেন। যাতে করে তার প্রতি কারো বদগোমানীর সুযোগ না হয়।)
- والله اعلم باالصواب -