সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের ইমামতী

ইসলামী জিন্দেগীনামায২৪ ফেব, ২১

প্রশ্ন

বালেগ ছেলে-মেয়ে সহ শিক্ষামূলক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকারী মৌলভী শিক্ষকের পিছনে ঈদগাহের ইমামতী ও মসজিদের ইমামতী জায়িয কি-না? ঐ ইমাম কানেও কিছু কম শুনে। তার পিছনে নামাযের হুকুম কি হবে?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

মসজিদের ইমামের জন্য মুত্তাকি পরহেযগার আলিম হওয়া জরুরী। কিন্তু কোন ইমাম যদি যুবতী মেয়েদের সাথে উঠাবসা করেন, তাদের সাথে পর্দা রক্ষা না করে খোলাখুলি দেখা সাক্ষাৎ করেন, বেপর্দা ভাবে কথাবার্তা বলেন, তাহলে তিনি ফাসিক বলে গণ্য হবেন। আর ফাসিকের জন্য খালিস দিলে তাওবা না করা পর্যন্ত ইমামতী করা এবং মুসল্লীদের তার পিছনে নামায পড়া মাকরূহে তাহরীমী। ফাসিক ব্যক্তিকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ দান বা ইমাম হিসেবে বহাল রাখা মসজিদ কর্তৃপক্ষের জন্য নাজায়িয।

এমতাবস্থায় মসজিদ কমিটির জন্য জরুরী যে, উক্ত ব্যক্তি তাওবা করতঃ তাওবার আলামত প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ উল্লেখিত পাপ কাজ সম্পূর্ণভাবে পরিহার পূর্বক তার চাল-চলন ও আচার-ব্যবহারে খোদাভীতি পরিলক্ষিত না হওয়া পর্যন্ত তাকে ইমামতী থেকে দূরে রাখা। খালিস তাওবা করলে তাকে ইমাম পদে রাখতে চাইলে রাখা জায়িয হবে।

সহশিক্ষা চালু আছে এমন বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে গেলে উপরে উল্লেখিত নাজায়িয কাজের মধ্যে শামিল হতে হয়। অতএব উক্ত ইমামের বেলায় উপরে উল্লেখিত হুকুম বর্তাবে। উক্ত শিক্ষক ইমামতী না করলেও বয়স্ক বালেগা মহিলাদের পড়ানোর চাকুরী করা তার জন্য জায়িয নয়।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • ফাতাওয়া কাযীখাঁন, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৯০
  • ফাতাওয়া দারুল উলূম, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ২৮৪

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২৪ ফেব, ২১