কোন এক লোক বলেন-মানুষ বীর্যের সৃষ্টি, আর বীর্য নাপাক, সুতরাং মানুষ হাকীকতে নাপাক। এই মানুষ সাবান ইত্যাদি লাগিয়ে পাক হবে কিভাবে। তার এই কথাটি কি ঠিক?
- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -
মানব জাতির মূল পদার্থ বা যে মূল ধাতু (বীর্য) থেকে সৃষ্টি, তা মূলতঃ নাপাক, কিন্তু এই মূল পদার্থ মানবাকার ধারণ করার পূর্বে পর্যায়ক্রমে যখন এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তর হয়, তখন তাতে পূর্বাবস্থার কোন প্রকার হাকীকত বা অস্তিত্ব বাকী থাকে না।
তাই সেই বীর্য যখন রক্তপিন্ড, অতঃপর সেই রক্তপিন্ড থেকে গোশতের টুকরা হল তখনই তা পবিত্র হয়ে গেল। তারপর গোশতের টুকরায় হাড় দেয়া হল এবং তাতে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে আত্মার সমন্বয়ে একজন সুন্দর ও সুঠাম পবিত্র মানুষে রূপান্তর করা হয়। সুতরাং এ বীর্য যখন প্রকারান্তে ধারাবাহিকভাবে পাঁচটি ধাপ অতিক্রম করে সর্বশেষ মানবাকারে ধারণ করে, তখন তাতে বীর্যের কোন হাকীকত বা অস্তিত্ব বাকী থাকে না। যেমন-ধরুন মুরগী কোন নাপাক বস্তু খেল, আর সেই নাপাক দ্রব্য তার পেটে গিয়ে তা থেকে তার গোশত তৈরি হল। বলুন তো এ গোশত পাক হবে না নাপাক হবে? নিঃসন্দেহে পবিত্র ও হালাল হবে। কারণ, সেই নাপাক দ্রব্য গোশতে রূপান্তর হওয়ার পর তার নাপাকীর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেয়েছে। তদ্রুপই উল্লেখিত ব্যপারটি। কাজেই মানুষ হাকীকতে নাপাক এবং ‘এই মানুষ সাবান লাগিয়ে গোসল করলেও পাক হয় না’ এমন মন্তব্য করা আদৌ ঠিক নয়, বস্তুতঃ এ ধরনের মন্তব্য করা তারই জন্য সম্ভব, যার কুরআন-হাদীস সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব।
- والله اعلم باالصواب -