ইমাম সাহেব নামাযে তাকবীরে তাহরীমা বলে হাত বাঁধার সময় আল্লাহ শব্দের মধ্যে ও ছালাম ফিরানোর সময় ছালামের মধ্যে ৩-৪ আলিফ টানেন। শরী‘আতের দৃষ্টিতে ঐ নামায কতটুকু সহীহ এবং তাতে তার ইমামতি করা সহীহ হবে কি-না?
- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -
‘আল্লাহ’ ও ‘আসসালামু’ শব্দের লামের উপর মদ্দে তবায়ী যার পরিমাণ এক আলিফ। আর হরকতের উচ্চারণকে দ্বিগুন করলেই এক আলিফ টানা হয়ে যায়। এতে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে, এক আলিফ টান অতি সামন্য তাই তাববীরে তাহরীমা এর লাম এক আলিফ হতে লম্বা করা শরী‘আতের দৃষ্টিতে নিষেধ। কারণ উল্লেখিত স্থান সমূহে ‘আল্লাহ’ ও ‘আসসালামু’ শব্দ বাক্যের মধ্যে আসায় মদ্দে আরজী হচ্ছে না। বরং মদ্দে তবায়ী থাকছে। সেহেতু এক আলিফ-ই-টানতে হবে। বহু মুহাক্কিক আলিম এক আলিফকে পরিমাণ হতে কম বা পরিমাণ হতে বেশী টানাকে নাজায়িয বলেছেন। কারণ, এর দ্বারা আল্লাহ তা‘আলার নাম বিগড়ানো হয়। এটা মারাত্মক অন্যায়। এটা কোন মামুলী ব্যাপার নয়।
তাছাড়া ইমাম হয়ে তাকবীরে তাহরীমা ৩/৪ আলিফ টানলে যে মারাত্মক ক্ষতিটা হচ্ছে, সেটা হলো, মুক্তাদীদের তাকবীরে তাহরীমা বলতে হয়, ইমামের আলিফ টানলে, মুক্তাদিদের ‘আল্লাহ আকবার’ তাকবীরে তাহরীমা বলায় আগে শেষ হয়ে যাওয়ার তাদের ইমামের ইক্তিদা সহীহ হচ্ছে না। সুতরাং মুসল্লীদের নামায হচ্ছে না। তেমনিভাবে ইমাম আসসালামু এর “লা” বেশী টানলে, অনেক মুকতাদী ইমামের আগেই আসসালামু বলে ফেলে, তাতেও তাদের নামায মাকরুহে তাহরীমা হয়ে যায়।
কারণ প্রথম সালামের আসসালামু পর্যন্ত ইকতিদা অব্যাহত রাখা জরুরী। কোন মুসল্লী ইমামের আসসালামু বলার আগেই আসসালামু বলে থাকলে, তিনিই আগেই ইকতিদা শেষ করে ফেললেন, এটা বড় ধরনের ভুল।
ইমাম সাহেবের এরুপ উদাসীনতার কারণে কত হাজার মুক্তাদীর নামায যে সহীহ হচ্ছে না বা মাকরুহে তাহরীমী হচ্ছে, তার কোন ইয়ত্তা নেই। তাই উক্ত ইমামের উচিত, কোন মুহাক্কিক ক্বারী সাহেবের নিকট মাশক করে এক আলিফ মদ্দ ঠিক করে সে অনুযায়ী আমল করা। যাতে মুক্তাদীদের নামায সহীহ হয়।
- والله اعلم باالصواب -