জনৈক ইমাম সাহেব নিজ জমি-জমা নিয়ে কিছুদিন যাবৎ মামলায় হয়রানীর শিকার হয়ে আসছেন। একদিন কথায় কথায় তিনি বলে ফেললেন, “আল্লাহ আছে ? থাকলে কি আর এ রকম হয় ?” এখন প্রশ্ন হলো- এরকম বলা কি ঠিক ? আবার তিনি প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে পর্দা ব্যতীত অবাধে পর মহিলাদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করে থাকেন। আবার সুদযুক্ত বন্ধকী জমিও নিয়ে থাকেন। এ ইমাম সাহেবের পিছনে নামায আদায় হবে কি-না?
- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -
এ ধরনের কথাবর্তা কুফরী কালিমার অন্তর্ভুক্ত। অতএব এ ধরনের কথা বলে থাকলে কালিমা পড়ে তওবা ইস্তিগফার করা জরুরী। বিবাহিত হলে বিবাহ দোহরায়ে নেয়া উচিত। ভবিষ্যতে এ ধরনের কথা বলা থেকে খুবই সতর্ক থাকা দরকার। কুফরী কালাম বললে ঈমান চলে যায়। আর ঈমান চলে গেলে পিছনের যিন্দেগীর সব আমলও নষ্ট হয়ে যায়।
মসজিদের ইমামের জন্য মুত্তাকী পরহেযগার হওয়া জরুরী। কোন ইমাম যদি বেগানা যুবতী মেয়েদের সাথে উঠাবসা করেন, তাদের সাথে অনর্থক কথাবার্তা বলেন, তাহলে তিনি ফাসিক বলে গণ্য হবেন। আর ফাসিকের জন্য খালিস দিলে তাওবা না করা পর্যন্ত ইমামতী করা এবং মুসল্লীদের তার পিছনে নামায পড়া মাকরূহে তাহরীমী। করযদাতার জন্য বন্ধকী জমির ফসল খাওয়া সুদ ও হারাম। সুতরাং এর থেকেও তাওবা করে ফসল জমিওয়ালাকে ফেরত দিতে হবে।
- والله اعلم باالصواب -