এপ্রিল ফুল পালন করা ও এপ্রিল ফুলের ইতিহাস

ইসলামী জিন্দেগীসভ্যতা ও সংস্কৃতি২২ ফেব, ২১

প্রশ্ন

আমাদের দেশে এপ্রিল ফুল পালনের নামে যে প্রথার প্রচলন রয়েছে, তা শরী‘আত সম্মত কি ? এপ্রিল ফুল অর্থ কি এবং এর তাৎপর্যগত ইতিহাস কি ?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

এপ্রিল ফুল অর্থ হল- এপ্রিলের বোকা।

আমাদের দেশে এপ্রিল ফুল পালনের নামে যে প্রথার প্রচলন রয়েছে, এটা তদানীন্তন ইংরেজদের কু-চক্রন্তমূলক হীন তৎপরতার প্রতীক। তারা মুসলমানদেরকে বোকা বানাতে পেরে এ দিনটিকে ‘স্বরণ উৎসব’ হিসেবে জিইয়ে রাখছে ‘এপ্রিল ফুল’ এর মাধ্যমে। তাই এপ্রিল ফুল উদযাপন করা কোন মুসলমানের জন্য জায়িয নয়। স্মর্তব্য যে স্পেনের মুসলিম স্থাপত্য ও জগোৎকর্ষিত ঐতিহ্য দেখে খৃষ্টান ও ইংরেজদের প্রাণে আর সইল না। তাই তারা স্পেনকে চতুর্দিক থেকে ঘেরাও করে ফেলল। পরিশেষে অবরুদ্ধ ও পরাজিত মুসলমানদের বলা হল মসজিদে অবস্থান করলে তাদেরকে নিরাপত্তা দেয়া হবে। প্রাণের মায়ায় স্পেনের রাজধানী গ্রানাডার মসজিদে আশ্রয় নিলো স্পেনের মুসলমানরা। অমনি ঘটাল ইংরেজরা যুগের ভয়াবহ বিভৎস কান্ড। মসজিদে আশ্রয়গ্রহণকারী নর-নারী ও শিশুদেরকে বাহিরদিয়ে তালাবদ্ধ করে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ করে মারল প্রতারক খৃষ্টান রাজা ফ্যার্ডিন্যান্ড। আর যারা পালানোর চেষ্টা করেছিল তাদেরকে হত্যা করলো নির্মমভাবে। সেই কঠিন দিনটি ছিল ১৪৯২ সনের পহেলা এপ্রিল।

সেদিন থেকে ইংরেজ প্রতারকরা মুলমানদের বোকা বানানোর এ কাহিনীকে চাংগা রাখার জন্য এ দিবসটিকে ঘোষনা করলো- “এপ্রিল ফুল” তথা “এপ্রিল মাসের বোকা” দিবস হিসেবে। নিতান্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আজ অনেক মুসলমানের সন্তানরা না বুঝে এ দিবসটি পালন করে যাচ্ছে। তাদের এ ব্যাপারে বোধদয় হওয়া উচিত। ঐতিহাসিক কারণেও এ দিবস পালন করা মুসলমানদের জন্য মোটেও বৈধ নয়। শরী‘আতের দৃষ্টিকোণেও এর যেহেতু ‘এপ্রিল ফুল’ ধোকা দেয়ার একটা রীতি মাত্র। রাসূলুল্লাহ c বলেন-“যে ব্যক্তি মানুষকে ধোকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।” তাই ধোকা দেয়া হারাম।

অতএব, এপ্রিল ফুল উদযাপন কোন মুসলমানের জন্য কোনক্রমেই জায়িয হতে পারে না।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • জাদীদ ফিক্বহী মাসায়িল, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ২৬৯
  • صحيح مسلم, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৭০

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২২ ফেব, ২১