কোন ঈদের মাঠে ঈদের নামাযান্তে ইমাম সাহেব যখন খুৎবা পাঠ শুরু করেন, তখন ঈদের মাঠ, মসজিদ ও ইমাম সাহেবের জন্য রুমাল ধরে কাতারের মাঝে গিয়ে টাকা আদায় করা হয়। শুধু তাই নয়, কমিটির পক্ষ থেকে ইমাম সাহেবেকে টাকা আদায়ের দিক লক্ষ্য রেখে খুৎবা ধীরে ধীরে পড়ার হুকুম দেয়া হয়। ইমাম সাহেবও সেই অনুযায়ী খুৎবা পাঠ করেন। এটা কি সহীহ হবে? না হলে তা কেমন অপরাধ? এবং এজন্য কে দায়ী?
- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -
ইমাম সাহেবের খুৎবা দেয়ার সময় চাঁদা উঠানো বা টাকা আদায় করা তো দূরের কথা, হাদীস শরীফ এসেছে যে, ইমাম সাহেব যখন খুৎবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত হন, তখন থেকে কোন প্রকার নামায, তাসবীহ-তাহলীল ও কথা-বর্তা বলা সম্পূর্ণ নিষেধ। তাই কমিটির জন্য এমন হুকুম করা শরী‘আত বিরোধী হয়েছে। আর ইমাম সাহেবেরও ঐ আদেশ মেনে খুৎবা ধীরে পড়া ঠিক হয়নি। তার উচিত ছিল খুৎবার পূর্বে বা পরে চাঁদা উঠানোর ব্যবস্থা করে খুৎবার সময় চাঁদা উঠানো বন্ধ করার ব্যবস্থা করা এবং কমিটিকে এই মাসআলা বুঝানো।
উল্লেখ্য, ইমাম বা মুআযযিনের জন্য আলাদা ভাবে সাহায্য আদায় করা বা কালেকশন করা তাদের চরমভাবে বেইযযত করার নামান্তর। সুতারং এভাবে না তুলে ঈদগাহ ফাণ্ডের জন্য কালেকশন করে তাদেরকে সম্মানী ভাতা দিবে।
- والله اعلم باالصواب -