অনুপস্থিতির কারণে বেতন কেটে রাখা

ইসলামী জিন্দেগীমসজিদ-মাদ্রাসার বিধান২৪ ফেব, ২১

প্রশ্ন

আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেবের মাসিক বেতন ১৫০০/= টাকা। তাঁকে প্রতি দুইমাস অন্তর পনের দিনের ছুটি দেয়া হয়। ইমাম সাহেব ছুটিতে বাড়িতে গেলে আসার সময় অনিচ্ছা সত্ত্বেও ২/১ ‍দিন দেরী হয়ে যায়। ফলে মসজিদের সেক্রেটারী বেতন থেকে টাকা কর্তন করে রাখেন। অর্থাৎ যে কয়দিন কামাই যায় সেই কয়দিনের বেতনের টাকা কেটে রাখেন। এটা কি শরী‘আত অনুযায়ী বৈধ হবে?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

শরী‘আত মতে, যেমন শর্ত ও চুক্তি হবে সেভাবেই পরবর্তীতে লেন-দেন হবে। সেই হিসেবে যদি চাকুরীজীবীর জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে এমন শর্ত করা থাকে যে, বিনা ছুটিতে অনুপস্থিত থাকলে তার জন্য বেতন কর্তন করা হবে এবং সে উক্ত শর্ত জেনে শুনে চাকুরী গ্রহণ করে থাকে, তাহলে নিয়ম অমান্য করার কারণে তার বেতন কেটে নেয়া জায়িয হবে। তবে পূর্ব চুক্তি না থাকলে বেতন কাটতে পারবে না। মোটকথা পূর্বশর্ত অনুযায়ী মু‘আমালা কার্যকর হবে। কারণ মুতাওয়াল্লী বা কমিটির জন্য শর্ত সাপেক্ষে ইমাম নিয়োগ করা জায়িয আছে। ইমামও সে শর্ত মেনে নিয়ে চাকুরী গ্রহণ করতে পারে। অতএব, নিয়মের ব্যতিক্রম করলে তার বেতন কর্তন করা যাবে।

অবশ্য মসজিদ কর্তৃপক্ষের মানবিক কর্তব্য এই যে, যদি মাঝে মধ্যে এ ধরণের অসুবিধা দেখা দেয় এবং সেটা বিশেষ কোন অসুবিধার কারণে হয়, তাহলে উক্ত ২/১ দিনের বেতন না কেটে ছুটি মঞ্জুর করে নেওয়া। কারণ, ইমাম তাদের জন্য দীনের দৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশী খায়েরখাহ বন্ধু। তার সমস্যার প্রতি লক্ষ্য রাখা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। তারা এ দায়িত্ব পালন করলে আল্লাহ তা‘আলা তাদের প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ করবেন। আর ইমামের দায়িত্ব যে, বিনা উযরে খামাখা দায়িত্ব পালনে অনিহা দেখিয়ে নিজেকে দায়িত্বহীন প্রমাণিত না করা।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • ফাতাওয়া মাহমূদিয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৩১১
  • ফাতাওয়া আলমগীরী, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৪৪৮

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২৪ ফেব, ২১