আমি একজন ব্যবসায়ী। দোকান থেকে মসজিদের দূরত্ব ৪’শ থেকে ৫’শ গজের মত হবে। দোকান বন্ধ করা-খোলা, মসজিদে অবস্থান ও আসা যাওয়ায় প্রায় ৪০ মিনিট সময় ব্যয় হয়। তাছাড়া আমার দোকান আমাকে একাই চালাতে হয়, অন্য কোন লোক নেই। দোকান খোলা রেখে গেলে প্রায় সময়ই এটা সেটা চুরি হয়ে যায়। আর বন্ধ করে গেলে ৪ ওয়াক্তে ৪০ × ৪ = প্রায় ২ ঘন্টা ৪০ মিনিট সময় ব্যয় হয়। ফলে ব্যবসার ক্ষতি হয়। এদিকে আমার এই দোকান ছাড়া হালাল রিযিকের আর কোন অবলম্বন নেই। এ সকল কারণে আমি সবসময় মসজিদে জামা‘আতে শরীক হতে পারি না। অনেক সময় দোকানে জামা‘আত করি, আবার কখনও একাই নামায পড়ি। এ অবস্থায় আমি মসজিদের জামা‘আত তরক করতে পারব কি-না?
- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -
শরীয়তে জামা‘আতের সাথে নামায পড়ার উপর খুবই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যার ভিত্তিতে অন্যান্য মাযহাবে জামা‘আতে হাজির হওয়া ফরজ বলা হয়েছে। হানাফী মাযহাবে জামা‘আতে নামায পড়া ওয়াজিব এবং জামা‘আত তরককারীদের ব্যাপারে শরী‘আতে কঠোর হুঁশিয়ারী এসেছে। এক হাদীসে রাসূল c ঘোষণা করেছেন- আমার ইচ্ছা হয় কাউকে আযান দিয়ে নামায পড়াতে বলি এবং একদল যুবককে লাকড়ী সংগ্রহ করতে বলি, তারপর যারা আযান শোনার পরেও মসজিদে নামায পড়তে আসল না, তাদের ঘর-বাড়ী জ্বালিয়ে দেই। কিন্তু বয়োবৃদ্ধ, শিশু ও মহিলাদের খাতিরে তা করি না।
সুতরাং আপনি আপনার মত দ্বীনদার লোকদের নিয়ে নিকটবর্তী স্থানে একটি পাঞ্জেগানা মসজিদ তৈরির চেষ্টা করুন এবং ওয়াক্তে একটু ক্ষতি হলেও জামা‘আতে শরীক হতে চেষ্টা করুন। ইনশাআল্লাহ আপনার বেচাকেনা ও লাভ কম হবে না। আর যেসব ওয়াক্তে বেশী অসুবিধা হয়, সেসকল ওয়াক্তে দোকানে ২/১ জন লোক নিয়ে জামা‘আত করে নামায পড়ে নিন।
- والله اعلم باالصواب -