ইন্তিকালের আগে আমার পিতা অসুস্থতার কারণে কিছু দিন নামায-রোযা আদায় করতে পারেনি। এ অনাদায়কৃত নামায-রোযার জন্য সন্তান হিসেবে আমরা কি আমল করতে পারি, যাতে উনার আত্মার উপর শান্তি বর্ষিত হয়।
- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -
আপনার পিতা ইন্তিকালের সময় যদি নামায ও রোযার ফিদিয়া দেওয়ার অসীয়ত করে গিয়ে থাকেন এবং তিনি সম্পদও রেখে গিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর সে সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হতে ছুটে যাওযা নামায রোযার কাফফারা আদায় করে দেওয়া আপনাদের জন্য জরুরী। আর যদি মাল না রেখে গিয়ে থাকেন, অথবা মাল রেখে গিয়েছেন, কিন্তু ওসীয়্যত করেননি, তাহলে এক্ষেত্রে আপনাদের উপর তার কাফফারা দিয়ে দেওয়া ওয়াজিব নয়। তবে আপনাদের তাওফীক থাকলে মরহুম পিতার নাজাতের জন্য কাফফারা দিয়ে দেওয়া উচিত। অবশ্য সন্তানদের মধ্যে কেউ নাবালেগ থাকলে সেক্ষেত্রে তার প্রাপ্য অংশ হতে ফিদিয়া দেওয়া যাবে না। বরং নাবালিগদের অংশ পরিপূর্ণ আদায় করে দেওয়ার পর শুধু বালিগদের অংশ থেকে তাদের সম্মতিক্রমে ফিদিয়া আদায় করতে পারেন।
উল্লেখ্য যে, অসুস্থতার দিনগুলোতে যদি ছয় ওয়াক্ত বা তার অধিক সময় লাগাতার বেহুশ থাকে তাহলে সে সময়ের নামাযের কাফফারা আদায় করতে হবে না। তেমনি যদি জ্ঞান বুদ্ধি ঠিক না থাকে তাহলে তার উপর নামায ফরয হবে না
তেমনিভাবে যদি অসুস্থ অবস্থায় মারা যায় তাহলে ঐ রোযার ফিদিয়া দিতে হবে না। আর সুস্থ হওয়ার পর কাযা করার সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও কাযা না করে মারা গেলে শুধু ঐ দিনগুলোর ফিদিয়া দিতে হবে। রোযা ও নামাযের ফিদিয়ার পরিমাণ হলোঃ প্রতিদিন বিতির সহ ছয় ওয়াক্ত নামায ধরে প্রতি ওয়াক্ত নামায বা প্রতিটি রোযার জন্য পৌনে দুই সের গম/ আটা বা তার সমপরিমাণ মূল্য গরীব মিসকীনকে মালিক বানিয়ে দিবে।
- والله اعلم باالصواب -