আমাদের দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক জুম‘আর নামাযে কায়দায়ে বাগদাদীতে লেখা নিয়্যতটা পড়ে থাকেন, এটা পড়া কি সুন্নাত?
- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -
‘নিয়্যত’ দিলের ইচ্ছাকে বলে। সুতরাং কোন নামাযেরই নিয়্যত মুখে বলা জরুরী নয়। অবশ্য মুখে বলা মুস্তাহাব। প্রত্যেক ব্যক্তি তার বোধগম্য ভাষায় (উদাহরণ স্বরুপ) এভাবে বলবে, আমি জুম‘আর দু’রাকা‘আত ফরজ নামায এ ইমামের পিছনে আল্লাহর ওয়াস্তে আদায় করছি। তারপরে তাকবীরে তাহরীমা বলবে। কায়দায়ে বাগদাদীতে আরবী গদ হিসেবে যে নিয়্যত লেখা আছে কুরআন, হাদীস বা ফিকহের কিতাবে তার কোন প্রমাণ নেই। শুধুমাত্র কায়দায়ে বাগদাদীতৈ এ ধরনের অনেক নিয়্যত লেখা আছে। এইভাবে নিয়্যত লেখার কারণে মুসল্লীরা মুখস্ত করতে বৃথা চেষ্ট করে অনেকে তা বাদ দেন এবং শেষ পর্যন্ত নামাযও পড়েন না। আর যারা কষ্ট করে মুখস্ত করেন তারা অর্থ না বুঝার কারণে প্রায়ই নিয়্যত করতে গিয়ে প্যাচে পড়ে যান। কি পড়বেন, না পড়বেন দিশা করতে পারেন না। শেষ পর্যন্ত অনেকেরই তাকবীরে উলা ছুটে যায়। আর যারা রুকূর কিছু পূর্বে পৌঁছে, তারা অনেকেই এই নিয়্যত পড়তে গিয়ে রাকা‘আত হারিয়ে ফেলেন। কাজেই এই নিয়্যত সাধারণ লোকদের জন্য না পড়াই উচিত। হ্যাঁ, যদি কেউ আলেম হন, আবরী সম্পর্কে ভাল অভিজ্ঞতা রাখেন, তবে তিনি আরবীতে নিয়্যত পড়ে নিতে পারেন।
- والله اعلم باالصواب -