জুম‘আর নামাযের জন্য সায়ী করা

ইসলামী জিন্দেগীনামায২৩ ফেব, ২১

প্রশ্ন

জুম‘আর কোন আযানের সময় সায়ী করা (মসজিদে রওয়ানা হওয়ায় সচেষ্ট হওয়া) জরুরী?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

হুযূর আকরাম c -এর যমানায় জুম‘আতেও শুধু একটি আযান ছিল। যা খতীবের সামনে দাঁড়িয়ে দেয়া হত। কিন্তু হযরত উসমান e -এর যমানায় মুসলমানদের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেলে জামা‘আতের লোকসংখ্যা অধিক হতে শুরু করলো। তখন হযরত উসমান e সাহাবায়ে কেরামের পরামর্শে মসজিদরে বাইরে জুম‘আর আরেকটি আযান বৃদ্ধি করেন। ফলে ইজমায়ে সাহাবায়ে কেরামের শরয়ী দলীল দ্বারা জুম‘আর প্রথম আযান ছাবিত হয়। হানাফী মাযহাব অনুযায়ী এ প্রথম আযানের সময় সায়ী করা অর্থাৎ মসজিদের দিকে রওয়ানা হওয়া জরুরী। এই প্রথম আযানের পরে বাড়ীতে বসে নফল নামায, কুরআন তিলাওয়াত, বা অন্য কোন ইবাদত জায়িয নেই। বরং মসজিদের দিকে রওয়ানা হওয়া অপরিহার্য। আমাদের দেশে জুম‘আর প্রথম আযান ৪০/৫০ মিনিট পূর্বে দিয়ে বয়ান শুরু করা হয়। তার অনেক পরে খুৎবার আযান দেয়া হয়। এ কারণে অনেক মুসুল্লীরা ইচ্ছে করেই জুম‘আয় দেরী করে আসে। তারা বয়ান শুনতে চায় না। শুধু জুম‘আর জামা‘আতে শরীক হতে চায়। কিন্তু সায়ী তরক করার কারণে তারা সকলেই গুনাহগার হচ্ছে। আর এ গুনাহের জন্য দায়ী হচ্ছে ইমাম সাহেব এবং মসজিদ কমিটি। কারণ, তারা আযান ও বয়ানের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করেননি। জুম‘আর দিন এটাই উত্তম যে, আনুমানিক ১২.৪৫ মিনিট প্রথম আযান হবে। উক্ত আযানের পর সকল মুসল্লীগণ কাবলাল জুম‘আ পড়ে নিবেন।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • আহসানুল ফাতাওয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১১৪
  • শামী, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১৬১

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২৩ ফেব, ২১