আমাদের এখানে একজন আলেম বলেছেন যে, কুরবানীর পশুর চামড়া বিক্রি না করে ঈদগাহ মাঠ প্রশস্ত করার জন্য দান করলে তা জায়িয হবে। এ মর্মে ৬৪ টি চামড়া আদায় করে প্রায় ৪২ হাজার টাকা বিক্রয় করা হয়েছে। এখন জানার বিষয় হলো এটা মাসআলা অনুযায়ী জায়িয হবে কি-না?
- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -
কুরবানীর চামড়া বিক্রী না করে মালিক নিজের ব্যবহার উপযোগী কোন জিনিষ বানিয়ে নিজের কাজে লাগাতে পারেন। যেমন- জায়নামায, দস্তরখান, পানি রাখার পাত্র ইত্যাদি। অথবা কোন গরীব-মিসকীনকে দান করে দিতে পারেন যাতে সে উক্ত চামড়ার মালিক হয়ে যায়। কিন্তু কুরবানীর চামড়া বিক্রি করে দিলে, তার মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। উল্লেখ্য যে, যে সমম্ত ক্ষেত্রে দানের দ্বারা নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তিকে মালিক বানানো হয় না, সে সমস্ত ক্ষেত্রে কুরবানীর চামড়া বা তার মূল্য দান করা জায়িয নয়। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত ক্ষেত্রে ঈদগাহে দান করাতে যেহেতু কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির মালিকানা পাওয়া যায় না, সেহেতু কুরবানীর চামড়া বা তার মূল্য ঈদগাহে দান করা জায়িয নয়। এখন ঈদগাহের জন্য চাঁদা কালেকশন করে তার সম্প্রসারণ করতে হবে এবং ফাণ্ড থেকে কুরবানীর চামড়ার সমুদয় টাকা গরীব-মিসকীনদের বন্টন করে দিতে হবে।
- والله اعلم باالصواب -