বদলী হজ্বকারীর জন্য কি ইফরাদ হজ্ব করা?

মাসিক আল কাউসারহজ্জ৫ এপ্রিল, ২১

প্রশ্ন

বদলী হজ্বকারীর জন্য কি ইফরাদ হজ্ব করা জরুরি? অনেকে বলেন, ইফরাদ করা জরুরি। প্রেরক তামাত্তু বা কিরান হজ্বের অনুমতি দিলেও আদায় হবে না। ইফরাদ হজ্বই করতে হবে। মুআল্লিমুল হুজ্জাজ কিতাবেও এমনই বলা হয়েছে। আবার কোনো কোনো আলেমকে জায়েয বলতে শোনা যায়। এ বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধান বরাতসহ জানতে চাই।

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

প্রেরক অনুমতি দিলে বদলীকারী তামাত্তু ও কিরান হজ্বও করতে পারবেন। অনুমতি থাকলেও ইফরাদ করা জরুরি, তামাত্তু বা কিরান জায়েয নয়-এই কথা ঠিক নয়। মুআল্লিমুল হুজ্জাজ, ফাতাওয়া খলীলিয়্যাহসহ কিছু কিতাবে সর্বাবস্থায় ইফরাদ জরুরি বলা হলেও উপমহাদেশের অনেক মুফতী প্রেরকের অনুমতিসাপেক্ষে তামাত্তু ও কিরান করাকে জায়েয বলে ফাতওয়া দিয়েছেন। যেমন, মুফতী কেফায়াতুল্লাহ দেহলভী i , মুফতী মুহাম্মাদ শফী i এবং মুফতী যফর আহমদ উছমানী i , মুফতী রশীদ আহমদ লুধিয়ানভী i প্রমুখ। আর জায়েয হওয়ার পক্ষে হানাফী ফকীহদের থেকেও সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত রয়েছে। যেমন,ফাতাওয়া খানিয়া, আল্লামা সিন্ধির লুবাব, আল্লামা সাঈদ আবদুল গণী i -এর ইরশাদুস সারী এবং আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী ফাতাওয়া শামীতে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, অনুমতি থাকলে বদলীকারী কিরান, তামাত্তু যেকোনোটি করতে পারেন। ইফরাদ হজ্ব করা জরুরি নয়। এছাড়া কিরান জায়েয হওয়ার কথা মাবসূতে সারাখসী ও হেদায়াতেও আছে।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • লুবাবুল মানাসিক, পৃষ্ঠা: ৪৫৯
  • ফাতাওয়া খানিয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৩০৭
  • মাবসূত সারাখসী, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১৫৫
  • হেদায়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ২৯৮
  • রদ্দুল মুহতার, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৬১১
  • ইমদাদুল আহকাম, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১৮৩
  • আহসানুল ফাতাওয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৫২৩
  • কেফায়াতুল মুফতী, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৪৫
  • জাওয়াহিরুল ফিকহ, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৫০৮
  • ফাতাওয়া উছমানী, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ২২২

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ৫ এপ্রিল, ২১