সাইয়্যিদুল মুরসালিন c -এর নামাযে কোন কোন সূরা পড়েছেন বলে উল্লেখ পাওয়া যায়?
- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -
মহানবী c ফজরের ফরজ নামাযে যে সমস্ত সূরা পড়েছেন, তা নিম্নে প্রদত্ত হলোঃ
সূরা ক্বাফ, সূরা আত-তাকভীর, সূরা কাফিরূন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস। শুক্রবার ফজরের নামাযের ১ম রাক’আতে সূরা ‘সিজদাহ্’, ২য় রাকা’আতে সূরা ‘আদ-দাহর’ পড়েছেন। কখনো সূরা জুমু’আ ও সূরা মুনাফিকূন পড়তেন।
রাসূলুল্লাহ c কর্তৃক যোহরের ফরয নামাযে পঠিত সূরা সমূহ নিরুরূপঃ যথা- সূরা আ’লা, সূরা আল-লাইল।
মাগরীবের ফরজ নামাযে মহানবী c যে সকল সূরা পড়েছেন বলে পাওয়া যায়, তাহলো- সূরা আত-তূর, সূরা আল মুরসালাত, সূরা ‘আরাফকে দু’ভাগে ভাগ করে দু’রাকা’আতে। শুক্রবার মাগরিবের নামাযে ১ম রাকা’আতে সূরা কাফিরূন, ২য় রাকা’আতে সূরা ইখলাসও পড়েছেন। উক্ত সূরাদ্বয় কখনো মাগরিবের সুন্নাতেও পড়তেন।
ইশার ফরজে মহানবী c কখনো সূরা ত্বীন পড়েছেন বলে এক হাদীসে উদ্ধৃতি রয়েছে। অন্য এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ c হযরত মু’আয e -কে ইশাতে সূরা ওয়াশ্ শামস্, সূরা ওয়ায্ যুহা, সূরা ওয়াল্ লাইল ও সূরা ‘আলা পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিতরের ১ম রাকা’আতে সূরা ‘আলা, দ্বিতীয় রাকা’আতে সূরা কাফিরূন ও তৃতীয় রাকা’আতে সূরা ইখলাস পড়ার কথাও অন্য এক হাদীসে উল্লেখ রয়েছে।
জুমু’আ ও দুই ঈদে সাইয়্যিদুল মুরসালিন c সূরা আল-ক্বামার ও সূরা ক্বাফ পড়েছেন বলে জানা যায়। অন্য এক রিওয়ায়াত মুতাবিক বুঝা যায় যে, তিনি সাধারণতঃ দুই ঈদ ও জুমু’আতে সূরা ‘আলা ও গাশিয়াহ্ পড়তেন। কখনো ঈদ ও জুমু’আ একই দিনে হলে উভয় নামাযে উক্ত দুই সূরাই পড়তেন।
আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, মহানবী c আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হতে শরী‘আতের বিধান বর্ণনাকারী। সে হিসেবে তাঁর জন্য মাসনূন কিরা‘আতের পরিমাণের কম বা বেশী করার অবকাশ রয়েছে এবং তাতে কোন অসুবিধা নেই। তাই তিনি পরিমাণ কম বা বেশী করেছেন উম্মতকে তালীম দেয়ার লক্ষ্যে যে, এমন করাও জায়িয আছে। তবে সাধারণতঃ মাসনূন কিরা‘আতের তরতীবের অনুসরণ করবে।
- والله اعلم باالصواب -