“নামায না হলে এর কৈফিয়ত আমি দিব” ইমাম যদি এ রকম বলে

ইসলামী জিন্দেগীনামায২৪ ফেব, ২১

প্রশ্ন

জনৈক ইমাম সাহেব ইসলামের বিভিন্ন বর্জনীয় আকীদা ও আমল সমূহে অভ্যস্থ। তিনি যে সকল আকীদা ও আমল চালিয়ে যাচ্ছেন, ঐ সকল বিষয়ের লিখিত ফাতাওয়ায় দেশের তিনটি বৃহত্তর ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে যে, উক্ত ইমাম সাহেবের পিছনে নামায পড়া জায়িয হবে না। ইমাম সাহেব বলেছেন, যদি আমার পিছনে নামায পড়া শুদ্ধ না হয়, তার দায়িত্ব ও কৈফিয়ত আল্লাহর দরবারে আমি নিজেই দিব।

এখন আমাদের প্রশ্ন হল, উক্ত ইমাম সাহেবের কথা মেনে নিয়ে তার পিছনে নামায পড়ব কি-না? এবং পড়লে আদায় হবে কি?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

যদি সেই ইমাম সাহেবের আকীদা ও প্রচারণা শরী‘আতে গর্হিত হয়, তাহলে উক্ত ইমাম সাহেবের পিছনে নামায পড়া সহীহ হবে না। কেননা, ইবাদত বন্দেগীর ব্যাপারে একজনের বোঝা অন্য কেউ গ্রহণ করতে পারে না। সুতরাং ইমাম যে মুসল্লীদের ইবাদতের দায় দায়িত্ব নিচ্ছেন, এটা তার জন্য নাজায়িয এবং মুসল্লিদের জন্য এটা বিশ্বাস করা নাজায়িয। বরং উক্ত ইমামকে ধোকাবাজ এবং পয়সা লোভী মনে করা উচিত। আখিরাতের ব্যাপারে তার ঈমানও আপত্তিকর। তবে ইমাম সাহেব যদি তার গলদ আকীদা ও আমল সম্পূর্ণভাবে ছেড়ে দিয়ে প্রকাশ্যভাবে তাওবার ঘোষণা দেন এবং তাওবার আলামত প্রকাশ পায়, অর্থাৎ তিনি আগে যেসব ভুল করতেন বা বলতেন, এখন সেগুলোর বিরুদ্ধে বলতে থাকেন, ওয়ায করেন, তাহলে তখন তার পিছনে নামায সহীহ হবে।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • সূরা: আনকাবূত, আয়াত: ১২
  • সূরা: ফাতির, আয়াত: ১৮

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২৪ ফেব, ২১