“আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ” বলার হুকুম

আহলে হ্বক বাংলা মিডিয়া সার্ভিসজায়েয-নাজায়েয১৫ এপ্রিল, ২৩

প্রশ্ন

আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ” বলার হুকুম কি? এটি জায়েজ না জায়েজ? জানালে কৃতজ্ঞ হবো।

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

মূলত উক্ত বাক্যগুলো রাসূল c কে হাজির নাজিরের বিশ্বাস না করে এমনিতে বলা জায়েজ আছে। বলাতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু বর্তমানে এ পদ্ধতিতে একথাগুলো বলাকে আবশ্যকীয় মনে করার কারণে এভাবে দরূদ বলা বিদআতে পরিণত হয়ে গেছে। তাই এভাবে বলা থেকে বিরত থাকবে। আর যদি এ দরূদ রাসুল c কে হাজির নাজির বিশ্বাস করে বলে, তাহলে এটি শিরক। যে হাজির নাজিরের বিশ্বাসের সাথে একথাগুলো বলবে, সে মুশরিক হয়ে যাবে।

ابْنَ مَسْعُودٍ، يَقُولُ: عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَفِّي بَيْنَ كَفَّيْهِ، التَّشَهُّدَ، كَمَا يُعَلِّمُنِي السُّورَةَ مِنَ القُرْآنِ: «التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ، وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ» وَهُوَ بَيْنَ ظَهْرَانَيْنَا، فَلَمَّا قُبِضَ قُلْنَا: السَّلاَمُ – يَعْنِي – عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (صحيح البخارى، رقم الحديث-6265) عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ لِلَّهِ مَلَائِكَةً سَيَّاحِينَ فِي الْأَرْضِ يُبَلِّغُونِي عَنْ أُمَّتِي السَّلَامَ» (مصنف ابن ابى شيبة، رقم الحديث-8705، مسند احمد، رقم الحديث-3702) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” مَنْ صَلَّى عَلَيَّ عِنْدَ قَبْرِي وُكِّلَ بِهَا مَلَكٌ يَبْلُغَنِي، وَكُفِي بِهَا أَمْرَ دُنْيَاهُ وَآخِرَتِهِ، وَكُنْتُ لَهُ شَهِيدًا أَوْ شَفِعيًا ” هَذَا لَفْظُ حَدِيثُ الْأَصْمَعِيِّ، وَفِي رِوَايَةِ الْحَنَفِيِّ قَالَ: عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” مَنْ صَلَّى عَلَيَّ عِنْدَ قَبْرِي سَمِعْتُهُ، وَمَنْ صَلَّى عَلَيَّ نَائِيًا أَبْلَغْتُهُ (شعب الايمان، رقم الحديث-1481)

- والله اعلم باالصواب -

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ১৫ এপ্রিল, ২৩