হাশরের ময়দানের ধারাবাহিক হালাত কি

আহলে হ্বক বাংলা মিডিয়া সার্ভিসআকীদা১০ মে, ২১

প্রশ্ন

মানুষ প্রথমে রুহের জগতে ছিল। তারপর মায়ের পেটে, তারপর দুনিয়া, তারপর কবর, তারপর হাশরের ময়দান। আমার জানার বিষয় হচ্ছে, হাশরের ময়দান, হাউজে কাউসার, বিচার, আমলনামা, পুলসিরাত, জান্নাত, জাহান্নাম ইত্যাদি ধারাবাহিকভাবে জানতে চাই। কোনটার পর কী হবে?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

প্রথমে হাশরের ময়দানে ইসরাফিল এর ফুৎকার শুনে সকল মানুষ তথা আদম থেকে নিয়ে কিয়ামত পর্যন্তের সকল মানুষ একত্রিত হবেন। তারপর রাসূল c এর শাফায়াতে কুবরা তথা সুপারিশের মাধ্যমে বিচারকার্য শুরু হবে। বিচারকার্য শুরু হবার প্রক্কালে সকলের হাতে তাদের আমলনামা দিয়ে দেয়া হবে। তা সকলে পাঠ করবে। তারপর হাউজে কাউসারের পানি পান পর্ব শুরু হবে। এরপর মিযানের পাল্লা প্রস্তুত করা হবে। সেখানে সকল মানুষের পাপ-পূণ্য মিযানের পাল্লায় হিসেব করা হবে। তারপর পুলসিরাতের উপর দিয়ে সকলকে রওনা হতে হবে। পুলসিরাতটি হবে জাহান্নামের উপর। জাহান্নামীরা পুলসিরাত পাড় না হতে পেরে নিচে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। আর জান্নাতীরা পুল পাড় হয়ে উপারের জান্নাতে পৌঁছে যাবে। -মুফতী মুহাম্মদ তাহের মাসউদ কৃত আকায়েদে আহলে সুন্নাতি ওয়াল জামাআত, প্রকাশনী- খানকায়ে সিরাজিয়া নকশবন্দীয়া মুজাদ্দেদীয়া, পৃষ্ঠা-১২৩

وَنُفِخَ فِي الصُّورِ فَصَعِقَ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ إِلَّا مَنْ شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ نُفِخَ فِيهِ أُخْرَى فَإِذَا هُمْ قِيَامٌ يَنْظُرُونَ ۞ وَأَشْرَقَتِ الْأَرْضُ بِنُورِ رَبِّهَا وَوُضِعَ الْكِتَابُ وَجِيءَ بِالنَّبِيِّينَ وَالشُّهَدَاءِ وَقُضِيَ بَيْنَهُمْ بِالْحَقِّ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ ۞ وَوُفِّيَتْ كُلُّ نَفْسٍ مَا عَمِلَتْ وَهُوَ أَعْلَمُ بِمَا يَفْعَلُونَ

শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, ফলে আসমান ও যমীনে যারা আছে সবাই বেহুঁশ হয়ে যাবে, তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন। অতঃপর আবার শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তৎক্ষণাৎ তারা দন্ডায়মান হয়ে দেখতে থাকবে। পৃথিবী তার পালনকর্তার নূরে উদ্ভাসিত হবে, আমলনামা স্থাপন করা হবে, পয়গম্বরগণ ও সাক্ষীগণকে আনা হবে এবং সকলের মধ্যে ন্যায় বিচার করা হবে-তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না। প্রত্যেকে যা করেছে, তার পূর্ণ প্রতিফল দেয়া হবে। তারা যা কিছু করে, সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবগত। -সূরা যুমার-৬৮-৭০

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَال: أُتِيَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا بِلَحْمٍ، فَرُفِعَ إِلَيْهِ الذِّرَاعُ، وَكَانَتْ تُعْجِبُهُ فَنَهَسَ مِنْهَا نَهْسَةً فَقَال: ” أَنَا سَيِّدُ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَهَلْ تَدْرُونَ بِمَ ذَاكَ؟ يَجْمَعُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ، فَيُسْمِعُهُمُ الدَّاعِي، وَيَنْفُذُهُمُ الْبَصَرُ، وَتَدْنُو الشَّمْسُ فَيَبْلُغُ النَّاسَ مِنَ الْغَمِّ وَالْكَرْبِ مَا لَا يُطِيقُونَ، وَمَا لَا يَحْتَمِلُونَ، فَيَقُولُ بَعْضُ النَّاسِ لِبَعْض: أَلَا تَرَوْنَ مَا أَنْتُمْ فِيهِ؟ أَلَا تَرَوْنَ مَا قَدْ بَلَغَكُمْ؟ أَلَا تَنْظُرُونَ مَنْ يَشْفَعُ لَكُمْ إِلَى رَبِّكُمْ؟ فَيَقُولُ بَعْضُ النَّاسِ لِبَعْض: ائْتُوا آدَمَ، فَيَأْتُونَ آدَمَ، فَيَقُولُون: يَا آدَمُ، أَنْتَ أَبُو الْبَشَرِ، خَلَقَكَ اللهُ بِيَدِهِ، وَنَفَخَ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ، وَأَمَرَ الْمَلَائِكَةَ فَسَجَدُوا لَكَ، اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ، أَلَا تَرَى إِلَى مَا نَحْنُ فِيهِ؟ أَلَا تَرَى إِلَى (:١٨٥) مَا قَدْ بَلَغَنَا؟ فَيَقُولُ آدَم: إِنَّ رَبِّي غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ، وَلَنْ يَغْضَبَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ، وَإِنَّهُ نَهَانِي عَنِ الشَّجَرَةِ فَعَصَيْتُهُ نَفْسِي نَفْسِي، اذْهَبُوا إِلَى غَيْرِي، اذْهَبُوا إِلَى نُوحٍ، فَيَأْتُونَ نُوحًا، فَيَقُولُون: يَا نُوحُ، أَنْتَ أَوَّلُ الرُّسُلِ إِلَى الْأَرْضِ، وَسَمَّاكَ اللهُ عَبْدًا شَكُورًا، اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ، أَلَا تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ؟ أَلَا تَرَى مَا قَدْ بَلَغَنَا؟ فَيَقُولُ لَهُم: إِنَّ رَبِّي قَدْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ، وَلَنْ يَغْضَبَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ، وَإِنَّهُ قَدْ كَانَتْ لِي دَعْوَةٌ دَعَوْتُ بِهَا عَلَى قَوْمِي، نَفْسِي نَفْسِي، اذْهَبُوا إِلَى إِبْرَاهِيمَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَيَأْتُونَ إِبْرَاهِيمَ، فَيَقُولُون: أَنْتَ نَبِيُّ اللهِ وَخَلِيلُهُ مِنْ أَهْلِ الْأَرْضِ، اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ، أَلَا تَرَى إِلَى مَا نَحْنُ فِيهِ؟ أَلَا تَرَى إِلَى مَا قَدْ بَلَغَنَا؟ فَيَقُولُ لَهُمْ إِبْرَاهِيم: إِنَّ رَبِّي قَدْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ، وَلَا يَغْضَبُ بَعْدَهُ مِثْلَهُ، وَذَكَرَ كَذَبَاتِهِ، نَفْسِي نَفْسِي، اذْهَبُوا إِلَى غَيْرِي، اذْهَبُوا إِلَى مُوسَى، فَيَأْتُونَ مُوسَى صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَيَقُولُون: يَا مُوسَى، أَنْتَ رَسُولُ اللهِ فَضَّلَكَ اللهُ بِرِسَالَاتِهِ، وَبِتَكْلِيمِهِ عَلَى النَّاسِ، اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ، أَلَا تَرَى إِلَى مَا نَحْنُ فِيهِ؟ أَلَا تَرَى مَا قَدْ بَلَغَنَا؟ فَيَقُولُ لَهُمْ مُوسَى صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم: إِنَّ رَبِّي قَدْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ، وَلَنْ يَغْضَبَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ، وَإِنِّي قَتَلْتُ نَفْسًا لَمْ أُومَرْ بِقَتْلِهَا، نَفْسِي نَفْسِي، اذْهَبُوا إِلَى عِيسَى صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَيَأْتُونَ عِيسَى، فَيَقُولُون: يَا عِيسَى أَنْتَ رَسُولُ اللهِ، وَكَلَّمْتَ النَّاسَ فِي الْمَهْدِ، وَكَلِمَةٌ مِنْهُ أَلْقَاهَا إِلَى مَرْيَمَ، وَرُوحٌ مِنْهُ، فَاشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ، أَلَا تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ؟ أَلَا تَرَى مَا قَدْ بَلَغَنَا؟ فَيَقُولُ لَهُمْ عِيسَى صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم: إِنَّ رَبِّي قَدْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ، وَلَنْ يَغْضَبَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ، وَلَمْ يَذْكُرْ لَهُ ذَنْبًا، نَفْسِي نَفْسِي، اذْهَبُوا إِلَى غَيْرِي، اذْهَبُوا إِلَى مُحَمَّدٍ، فَيَأْتُونِّي فَيَقُولُون: يَا مُحَمَّدُ، أَنْتَ رَسُولُ اللهِ، وَخَاتَمُ الْأَنْبِيَاءِ، وَغَفَرَ اللهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ، وَمَا تَأَخَّرَ، اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ، أَلَا تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ؟ أَلَا تَرَى مَا قَدْ بَلَغَنَا؟ فَأَنْطَلِقُ، فَآتِي تَحْتَ الْعَرْشِ، فَأَقَعُ سَاجِدًا لِرَبِّي، ثُمَّ يَفْتَحُ اللهُ عَلَيَّ وَيُلْهِمُنِي مِنْ مَحَامِدِهِ، وَحُسْنِ الثَّنَاءِ عَلَيْهِ شَيْئًا لَمْ يَفْتَحْهُ لِأَحَدٍ قَبْلِي، ثُمَّ يُقَال: يَا مُحَمَّدُ، ارْفَعْ رَأْسَكَ، سَلْ تُعْطَهْ، اشْفَعْ تُشَفَّعْ، فَأَرْفَعُ رَأْسِي، فَأَقُول: يَا رَبِّ، أُمَّتِي أُمَّتِي، فَيُقَال: يَا مُحَمَّدُ، أَدْخِلْ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِكَ مَنْ لَا حِسَابَ عَلَيْهِ مِنَ الْبَابُِ الْأَيْمَنِ مِنْ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ، وَهُمْ شُرَكَاءُ النَّاسِ فِيمَا سِوَى ذَلِكَ مِنَ الْأَبْوَابِ، وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، إِنَّ مَا بَيْنَ الْمِصْرَاعَيْنِ مِنْ مَصَارِيعِ الْجَنَّةِ لَكَمَا بَيْنَ مَكَّةَ وَهَجَرٍ، أَوْ كَمَا بَيْنَ مَكَّةَ وَبُصْرَى “،

আবূ হু ায় e থেকে ব ্ণনা ক েছেন। তিনি বলেন, একদিন াসুলুল্লাহ c ে কিছু গোশত (হাদিয়া) এল, প ে এ বাছ অংশটি তা সামনে (আহা উদ্দেশ্যে) পেশ ক া হলো। বাহু গোশত তা কাছে খুবই পছন্দনীয় ছিল। এ তিনি তা থেকে এক কামড় গ্ হণ ক লেন। তা বললেন, কিয়ামত দিবসে আমিই হব সকল মানুষে ্দা । তা কিভাবে তোম া জানো? কিয়ামত দিবসে যখন আল্লাহ তা’আলা শু ু থেকে নিয়ে শেষ প ্যন্ত সকল মানুষকে একই মাঠে এমনভাবে জমায়েত ক বেন যে, একজনে আহবান সকলে শুনতে পাবে, একজনে আহবান সকলকে দেখতে পাবে। সূ ্য নিকটবতী হবে। মানুষ অসহনীয় ও চ ম দুঃখ-কটূ ও পে েশানীতে নিপতিত হবে। নিজে া প স্প বলাবলি ক বে, কী দু ্দশায় তোম া আছ, দেখছ না? কী অবস্হায় তোম া পৌছেছ উপলব্ধি ক ছ না? এমন কাউকে দেখছ না, যিনি তোমাদে ওয়া দিগা কাছে তোমাদে জন্য সুপা িশ ক বেন? তা একজন আ েকজনকে বলবে, চল, আদম (আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এ কাছে যাই। অনন্ত তা া আদম (আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এ কাছে আসবে এবং বলবে, হে আদম! আপনি মালবকুলে পিতা, আল্লাহ- স্বহস্তে আপনাকে সৃষ্টি ক েছেন এবং আপনা দেহে ূহ ফুকে দিয়েছেন। আপনাকে সিজদা ক জন্য ফে েশতাদে কে নি ্দেশ দিয়েছেন ; তাঁ া আপনাকে সিজদা ক েছে। আপনি দেখছেন না আম া কি কষ্টে আছি? আপনি দেখছেন না আম া কষ্টে কোন সীমায় পৌছেছি? আদম (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উত্ত ে বলবেনঃ আজ প ওয়া দিগা এত বেশি ক্ োধাম্বিত আছেন যা পূ ্বে কখনো হননি, আ েও কখনও হবেন না। তিনি আমাকে একটি বৃক্ষে ফল খেতে নিষেধ ক েছিলেন, আ আমি সেই নিষেধ লঙ্ঘন ক ে ফেলেছি, ‘নাফসী’, নাফসী’, আজ আমা চিন্তায় আমি পে েশান। তোম া অন্য কা ো কাছে গিয়ে চেষ্টা ক , তোম া নূহে কাছে যাও। তখন তা া নূহ (আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এ কাছে আসবে ; বলবে, হে নূহ! আপনি আমাদে প্ থম াসুল। আল্লাহ আপনাকে “চি কৃতজ্ঞ বান্দা” বলে উপাধি দিয়েছেন। আপনা ুওয়া দিগা কাছে আমাদে জন্য সুপা িশ ক ুন। দেখছেন না, আম া কোন অবস্হায় আছি? অ্যমাদে অবস্হা কোন প ্যায়ে পৌছেছে? নূহ (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলবেনঃ আজ আমা ওয়া দিগা এত ক্ োধানিত আছেন যে এমন পূ ্বেও কখনো হননি আ কখনও হবেন না। আমাকে তিনি একটি দুঁআ কবুলে প্ তিশ্ ুতি দিয়েছিলেন, আ তা আমি আমা জাতি বি ুদ্ধে প্ য়োগ ক ে ফেলেছি ‘নাফসী’, ‘নাফসী’, -আজ আমা চিন্তায় আমি পে েশান। তোম া ইব াহীম (আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এ কাছে যাও। তখন তা া ইব াহীম (আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এ কাছে আসবে। বলবে, হে ইব াহীম! আপনি আল্লাহ নাবী c , পৃথিবীবাসী মধ্যে আপনি আল্লাহ খলীল ও অন্ত ঙ্গ বন্ধু। আপনি আপনা ওয়া দিগা কাছে আমাদে জন্য সুপা িশ ক ুন। দেখছেন না, আম া কোন অবস্হায় আছি এবং আমাদে অবস্হা কোন প ্যায়ে পৌছেছে? ইব াহীম (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদে কে বলবেনঃ আল্লাহ আজ এতই ক্ োধানিত আছেন যে, পূ ্বে এমন কখনও হন নাই আ েও কখনও হবেন না। তিনি তাঁ কিছুঁ বহ্যিক অসত্য কথনে বিষয় উল্লেখ ক বেন। বলবেন, -‘নাফসী”, ‘নাফসী’, -আজ আমা চিন্তায় আমি পে েশান। তোম া অন্য কা ো কাছে যাও। মূসা কাছে যাও। তা া মূসা (আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এ কাছে আসবে, বলবে, হে মূসা! আপনি আল্লাহ াসুল, আপনাকে তিনি তাঁ িসালাত ও কালাম দিয়ে মানুষে উপ ্যাদা দিয়েছেন। আপনা ওয়া দিগা কাছে আমাদে জন্য সুপা িশ ক ুন। দেখছেন না, আম া কোন অবস্হায় আছি এবং আমাদে অবস্হা কোন প ্যায়ে পৌছেছে? মূসা (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদে কে বলবেনঃ আজ আল্লাহ এতই ক্ োধানিত অবস্হায় আছেন যে, পূ ্বে এমন কখনো হন নাই আ েও কখনো হবেন না। আমি তা হুকুমে পূ ্বে এক ব্যাক্তিকে হত্যা ক ে ফেলেছিলাম। ‘নাফসী’, ‘নাফসী’ আজ আমা চিন্তায় আমি পে েশান। তোম া ঈসা (আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এ কাছে যাও। তা া ঈসা (আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এ কাছে আসবে এবং বলবে, হে ঈসা! আপনি আল্লাহ সূল, দোলনায় অবস্হানকালেই আপনি মানুষে সাথে বাক্যালাপ ক েছেন, আপনি আল্লাহ দেওয়া বানী, যা তিনি মা ইয়ামে ্ভে ঢেলে দিয়েছিলেন, আপনি তাঁ দেওয়া আত্মা। সুত াং আপনা ওয়া দিগা কাছে আমাদে জন্য সুপা িশ ক ুন। দেকছেন না, আম া কোন অবস্হায় আছি এবং আমাদে অবস্থা কোন অবস্থায় পৌছেছে? ঈসা (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলবেনঃ আজ আল্লাহ তা’আলা এতই ক্ োধান্বিত অবস্থায় আছেন যে, এ ূপ না পূ ্বে কখনও হয়েছেন, আ না প ে কখনো হবেন। উল্লেখ্য, তিনি কোন অপ াধে কথা উল্লেখ ক বেন না। তিনি বলবেন, ‘নাফসী’, ‘নাফসী’-আজ আমা চিন্তায় আমি পে েশান। তোম া জন্য কা ো কাছে যাও। মুহাম্মাদ -এ কাছে যাও। াসুলুল্লাহ c বলেনঃ তখন তা া আমা কাছে আসবে এবং বলবে, হে মুহাম্মাদ! আপনি আল্লাহ াসুল, শেষ নাবী c , আল্লাহ আপনা পূ ্বাপ সকল ক্ টি ক্ষমা ক ে দিয়েছেন। আপনি আপনা ওয়া দিগা কাছে আমাদে জন্য সুপা িশ ক ুন। দেখছেন না, আম া কোন অবস্থায় আছি এবং আমাদে অবস্থা কোন প ্যায়ে পৌছেছে? তখন আমি সুপা িশে জন্য যাব এবং আ শে নিচে এসে প ওয়া দিগা উদ্দেশে সিজদাবনত হব। আল্লাহ আমা অন্ত কে সূপ্ শস্ত ক ে দিবেন এবং স ্বোত্তম প্ শংসা ও হামদ জ্ঞাপনে ইলহাম ক বেন, যা ইতিপূ ্বে কাউকেই দেয়া হয়নি। এ আল্লাহ বলবেন, হে মুহাম্মাদ! মাথা উত্তোলন ক ুন, প্ ্থনা ক ুন, আপনা প্ ্থনা কবুল ক া হবে। সুপা িশ ক ুন, আপনা সুপা িশ “গ্ হণ ক া হবে”। অনন্ত আমি। মাথা তুলব। বলব ৪ হে প ওয়া দিগা ! উম্মাতী, উম্মাতী, -আমা উাম্মাত, আমা উম্মাত, (এদে কে মুক্তি দান ক ুন)। আল্লাহ বলবেন, হে মুহাম্মদ! আপনা উম্মতে যাদে উপ কোন হিসাব নেই, তাদে কে জান্নাতে ডান দ জা দিয়ে প্ বেশ ক িয়ে দিন। অবশ্য অন্য তো ণ দিয়েও অন্যান্য লোকে সঙ্গে তা া প্ বেশ ক তে পা বে। াসুলুল্লাহ c বলেনঃ শপথ সে সত্তা , যাঁ হাতে মুহাম্মাদে প্ াণ, জান্নাতে দুই চৌকাঠে মধ্যকা দূ ত্ব মক্কা ও হাজ দূ ত্বে মত ; অথবা ব ্ণনাকা ী বলেন, মক্কা ও বস দূ ত্বে মত। -সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৩২৭

فَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ ۞ فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا ۞ وَيَنْقَلِبُ إِلَى أَهْلِهِ مَسْرُورًا ۞ وَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ وَرَاءَ ظَهْرِهِ ۞ فَسَوْفَ يَدْعُو ثُبُورًا • যাকে তার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে, তার হিসাব-নিকাশ সহজে হয়ে যাবে এবং সে তার পরিবার-পরিজনের কাছে হৃষ্টচিত্তে ফিরে যাবে এবং যাকে তার আমলনামা পিঠের পশ্চাদ্দিক থেকে দেয়া, হবে, সে মৃত্যুকে আহবান করবে। -সূরা ইনশিকাক, ৭-১১

عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَال: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم: «إِنِّي فَرَطُكُمْ عَلَى الحَوْضِ، مَنْ مَرَّ عَلَيَّ شَرِبَ، وَمَنْ شَرِبَ لَمْ يَظْمَأْ أَبَدًا، لَيَرِدَنَّ عَلَيَّ أَقْوَامٌ أَعْرِفُهُمْ وَيَعْرِفُونِي، ثُمَّ يُحَالُ بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ» হযরত সাহাল বিন সাদ e থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল c বলেছেন, আমি তোমাদের আগে হাউজে কাউসারের ধারে পৌঁছবো। যে আমার নিকট দিয়ে অতিক্রম করবে, সে হাউযের পানি পান করবে। আর যে পান করবে সে আর কখনোও পিপাসার্ত হবে না। নিঃসন্দেহে কিছু সম্প্রদায় আমার সামনে (হাউজে) উপস্থিত হবে। আমি তাদেরকে চিনতে পারবো আর তারাও আমাকে চিনতে পারবে। এরপর আমার এবং তাদের মাঝে প্রতিবন্দকতা সৃষ্টি করে দেয়া হবে। -সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬৫৮৩ فَأَمَّا مَنْ ثَقُلَتْ مَوَازِينُهُ ۞ فَهُوَ فِي عِيشَةٍ رَاضِيَةٍ ۞ وَأَمَّا مَنْ خَفَّتْ مَوَازِينُهُ ۞ فَأُمُّهُ هَاوِيَةٌ ۞ وَمَا أَدْرَاكَ مَا هِيَهْ ۞ نَارٌ حَامِيَةٌ • অতএব যার পাল্লা ভারী হবে, সে সুখীজীবন যাপন করবে। আর যার পাল্লা হালকা হবে, তার ঠিকানা হবে হাবিয়া। আপনি জানেন তা কি? প্রজ্জ্বলিত অগ্নি! -সূরা কারিয়া-৬-১১

وَيُضْرَبُ الصِّرَاطُ بَيْنَ ظَهْرَيْ جَهَنَّمَ، فَأَكُونُ أَنَا وَأُمَّتِي أَوَّلَ مَنْ يُجِيزُهَا، وَلاَ يَتَكَلَّمُ يَوْمَئِذٍ إِلَّا الرُّسُلُ، وَدَعْوَى الرُّسُلِ يَوْمَئِذ: اللَّهُمَّ سَلِّمْ سَلِّمْ، وَفِي جَهَنَّمَ كَلاَلِيبُ مِثْلُ شَوْكِ السَّعْدَانِ، هَلْ رَأَيْتُمِ السَّعْدَانَ؟ “، قَالُو: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَال: ” فَإِنَّهَا مِثْلُ شَوْكِ السَّعْدَانِ، غَيْرَ أَنَّهُ لاَ يَعْلَمُ مَا قَدْرُ عِظَمِهَا إِلَّا اللَّهُ، تَخْطَفُ النَّاسَ بِأَعْمَالِهِمْ، فَمِنْهُمُ المُوبَقُ بَقِيَ بِعَمَلِهِ – أَوِ المُوثَقُ بِعَمَلِهِ -، وَمِنْهُمُ المُخَرْدَلُ،

অনুবাদ- হযরত আবূ হুরায়রা e থেকে বর্ণিত। রাসূল c ইরশাদ করেছেন, এরপর জাহান্নামের উপর পুল কায়েম করা হবে। যারা পুল অতিক্রম করবে, আমি এবং আমার উম্মত তাদের মাঝে প্রথম থাকবো। সেদিন একমাত্র রাসূলগণ ছাড়া আর কেউই কথা বলতে পারবে না। আর রাসূলগণেরও আবেদন হবে শুধু আল্লাহুম্মা সাল্লিম, সাল্লিম হে আল্লাহ নিরাপতে রাখুন, নিরাপদে রাখুন)। এবং জাহান্নামে সাদান কাটার মত আঁকড়া থাকবে। তোমরা দেখেছো কি সাদানের কাঁটা? সাহাবাগণ বললেন, জী হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ। রাসূল c বললেন, জাহান্নামের যে কাঁটাগুলো এ সাদানের কাঁটার মত। হ্যাঁ, তবে সেগুলো যে কত বড় হবে তা একমাত্র আল্লাহই জানেন। ওসব কাঁটা মানুষকে তাদের কর্ম অনুপাতে বিদ্ধ করবে। কতিপয় মানুষ থাকবে ঈমানদার, তারা তাদের আমলের কারণে নিরাপদ থাকবে। আর কেউ কেউ তার আমলের কারণে ধ্বংস হবে। কাউকে নিক্ষেপ করা হবে। আর কাউকে প্রতিদান দেয়া হবে। -সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৭৪৩৭, ৭০০০, বাংলা বুখারী-১০, পৃষ্ঠা-৫৬৫

- والله اعلم باالصواب -

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ১০ মে, ২১