সেজদায়ে তিলাওয়াত পড়ার পর রুকুতে চলে গেলে ইমাম ও মুক্তাদীদের নামাযের হুকুম কি

আহলে হ্বক বাংলা মিডিয়া সার্ভিসনামায১৯ মার্চ, ২২

প্রশ্ন

ইমাম সাহেব সূরা ইকরা পড়ল। তারপর শেষের সেজদার আয়াত পড়ার পর তিলাওয়াতে সেজদা আদায় না করে রুকু করে ফেলল। এক্ষেত্রে কয়েকটি প্রশ্ন। যথা- ১ যদি ইমাম রুকুতে সেজদার নিয়ত করে তাহলে হুকুম কি? ২ ইমাম যদি সেজদার নিয়ত না করে তাহলে হুকুম কি? ৩ যে মুসল্লিরা রুকুতে সেজদার নিয়ত করে তাদের হুকুম কি? ৪ যে মুসল্লিরা নিয়ত করেনি, তাদের হুকুম কি?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

ইমাম সেজদার নিয়ত করলে তার সেজদা আদায় হবে। ইমামের সাথে মুসল্লিদেরও রুকুতে সেজদায়ে তিলাওয়াতের নিয়ত করতে হবে। সুতরাং যেসব মুসল্লি রুকুতে সেজদায়ে তিলাওয়াতের নিয়ত করবে, তাদের সেজদায়ে তিলাওয়াত আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু যদি ইমাম নিয়ত করে কিন্তু মুক্তাদীরা নিয়ত না করে, তাহলে মুক্তাদীদের সিজদায়ে তিলাওয়াত আদায় হবে না। এক্ষেত্রে যে মুসল্লিরা রুকুতে সেজদায়ে তিলাওয়াতের নিয়ত করেনি, কিন্তু ইমাম নিয়ত করেছিল, সেসব মুসল্লিরা নামাযের বৈঠক শেষে ইমাম যখন সালাম ফিরিয়ে দিবে, তখন মুসল্লিরা সালাম না ফিরিয়ে নিজে নিজে সেজদায়ে তিলাওয়াত করে, আবার বৈঠক করে সালাম ফিরাবে। নতুবা নামায হবে না। উল্লেখিত বিধানটি জোরে কিরাত পড়া নামাযের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু কিরাত আস্তে পড়া নামাযে ইমাম রুকুতে সেজদার নিয়ত করলে, মুসল্লিরা নিয়ত না করলেও সবার সেজদায়ে তিলাওয়াত আদায় হয়ে যাবে। নিয়ত না করলেও মুসল্লিদের সেজদায়ে তিলাওয়াত বাকি থাকবে না, ইমামের নিয়ত দ্বারা তাদেরটাও আদায় হয়ে যাবে। তবে সর্ব হালাতেই ইমাম সাহেব যদি রুকুতে সেজদায়ে তিলাওয়াতের নিয়তই না করে, তাহলে নিয়ত না থাকলেও নামাযের সেজদা দেয়ার দ্বারাই সবার সেজদায়ে তিলাওয়াত আদায় হয়ে যাবে। আলাদা সেজদা দেয়ার প্রয়োজন নেই। যেহেতু আমাদের দেশের সাধারণ মুসল্লিগণ রুকুতে সেজদায়ে তিলাওয়াত সংশ্লিষ্ট এ মাসআলা সম্পর্কে অবগত নয়, তাই ইমাম সাহেবদের উচিত রুকুতে সেজদায়ে তিলাওয়াতের নিয়ত না করা। কারণ এতে বেশ কিছু মুসল্লিদের নামায ফাসিদ হবার সম্ভাবনা থাকে। বরং কোন নিয়তই করা দরকার নেই। কারণ নামাযের সেজদা করার দ্বারা তা অটোমেটিকই আদায় হয়ে যাবে। فى الدر المختار- (و) تؤدى (بسجودها كذلك) أي على الفور (وإن لم ينو) بالإجماع، ولو نواها في ركوعه ولم ينوها المؤتم لم تجزه ويسجد إذا سلم الإمام ويعيد القعدة، ولو تركها فسدت صلاته كذا في القنية وينبغي حمله على الجهرية. وفى رد المحتار- (قوله وينبغي حمله على الجهرية) البحث لصاحب النهر ولعل وجهه أنه ذكر في التتارخانية أنه لو تلاها في السرية فالأولى أن يركع بها لئلا يلتبس الأمر على القوم، ولو في الجهرية فالسجود أولى اهـ فإنه يفيد أن نية الإمام كافية لعدم علمهم بما قرأه الإمام سرا، ولو لم يجزهم الركوع عنها كان التباس الأمر عليهم أعظم ولم يكن في ترجيح الركوع له فائدة فيحمل كلام القنية هنا على الجهرية ليكون المؤتم عالما بالتلاوة فإذا ركع إمامه فورا يلزمه أن ينويها فيه احتياطا لاحتمال أن الإمام نواها فيه فإذا لم ينو يسجد بعد سلام إمامه، أما في السرية فهو معذور وتكفيه نية إمامه إذ لا علم له بتلاوة إمامه حتى يؤمر بالسجود لها بعد سلام الإمام. وأجاب ح بأنه يمكنه أن يخبره الإمام بعد السلام قبل تكلم المقتدى وخروجه من المسجد أنه قرأها ونواها في الركوع اهـ فتأمل. الخ أنه ينبغي للإمام أن لا ينويها في الركوع لأنه إذا لم ينوها فيه ونواها في السجود أو لم ينوها أصلا لا شيء على المؤتم لأن السجود هو الأصل فيها بخلاف الركوع فإذا نواها الإمام فيه ولم ينوها المؤتم لم يجزه، (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب سجدة التلاوة-2/587-588

- والله اعلم باالصواب -

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ১৯ মার্চ, ২২