সূরা হাশরের শেষ আয়াত পড়ার ফযীলত প্রসঙ্গে

আহলে হ্বক বাংলা মিডিয়া সার্ভিসবিবিধ৪ এপ্রিল, ২৩

প্রশ্ন

ছোট থেকে আমাদের এলাকার মাসজিদে ফজরের পরে দেখে আসছি তাসবিহর জন্য বসে তারপরে আউজুবিল্লাহ হিসসামিউল আলিম হিমিনাশ শাইতয়ানির রাজিম বিসমিল্লাহ বলে সুরা হাশরের শেষ আয়াত গুলো ইমাম সহ সবাই পরত উচ্চারণ করে জোরে। ঢাকায় আসার পরে দেখি এখানকার কোন মাসজিদে এমন নেই এ ব্যাপারে আমলের হুকুম কি?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

প্রথমে এ সংক্রান্ত হাদীস দেখে নিন- عن معقل ابن يسار عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ” من قال حين يصبح ثلاث مرات : أعوذ بالله السميع العليم من الشيطان الرجيم . وقرأ ثلاث آيات من آخر سورة الحشر وكل الله به سبعين ألف ملك يصلون عليه حتى مسى ، وإن مات في ذلك اليوم مات شهيدا ، ومن قالها حين يمسى كان بتلك المنزلة “ হযরত মাকাল বিন ইয়াসার e রাসূল c থেকে বর্ণনা করেন। রাসূল c ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি সকাল বেলা তিন বার পড়বে “আউজুবিল্লাহিস সামীয়িল আলীমি মিনাশ শাইতানির রাজীম”। তারপর সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত ( হুয়াল্লাহুল্লাজী লা-ইলাহা শেষ পর্যন্ত) তিলাওয়াত করবে। তাহলে আল্লাহ তাআলা উক্ত ব্যক্তির জন্য ৭০ হাজার ফেরেস্তা নিযুক্ত করেন। যারা উক্ত ব্যক্তির জন্য মাগফিরাতের দ্আু করতে থাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। আর এ সময়ের মাঝে যদি লোকটি মারা যায়, তাহলে সে শহীদের মৃত্যু লাভ করে। আর যে ব্যক্তি এটি সন্ধ্যার সময় পড়বে, তাহলে তার একই মর্যাদা রয়েছে। (তথা মাগরিব থেকে সকাল পর্যন্তের জন্য ৭০ হাজার ফেরেস্তা গুনাহ মাফীর জন্য দুআ করে, আর সে সময়ে মারা গেলে শহীদের সওয়াব পাবে)। সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৩০৯০। কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-৩৫৯৭। আত তারগীব ওয়াত তারহীব, হাদীস নং-৩৭৯ সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৩৪২৫। শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-২৫০২। মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২০৩০৬। মুসনাদুশ সাহাবাহ, হাদীস নং-২৯৭৯৫। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস নং-২১৫৭। এ হাদীসটি হাসান পর্যায়ের হাদীস। মূলত উক্ত হাদীসে বর্ণিত ফযীলত পাবার আশায় আপনি দেখেছেন গ্রামের মসজিদগুলোতে এ আমলটি ইমাম সাহেবগণ মুসল্লিদের শিক্ষা দিয়ে থাকেন। এভাবে ইমাম পড়িয়ে দেয়া এ আমলের পদ্ধতি নয়। বরং একাকী পড়ার বিধান। কিন্তু যেহেতু মুসল্লিদের অনেকেই এটি জানে না, তাই ইমাম সাহেবগণ এটি পড়িয়ে থাকেন। আর ঢাকায় সবাই ব্যস্ত মানুষ। তাই হয়তো এ আমলটি করে না। বাকি অনেক মসজিদে এ আমল ঢাকাতেও চালু আছে। আবার অনেকে একাকী এ আমলটি করে থাকেন।

- والله اعلم باالصواب -

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ৪ এপ্রিল, ২৩