সমগ্র আসমান জমিন এক পাল্লায় কালিমায় শাহাদাত আরেক পাল্লায় রাখলে কালিমার পাল্লা ভারি হবে

আহলে হ্বক বাংলা মিডিয়া সার্ভিসআকীদা২৩ এপ্রিল, ২২

প্রশ্ন

তাবলীগ জামাতী ভাইদের নীচের কথাটি কি দলিল ভিত্তিক? নাকি মনগড়া জানালে খ্বুই উপকৃত হব। উত্তর যথা সম্ভব দ্রুত দেয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো- যদি সমগ্র আসমান-জমীন ও এর মাঝে যা কিছু আছে এক পাল্লায় রাখা হয় আর কামেলা শাহাদাত অপর পাল্লায় রাখা হয় তবে কালেমার পাল্লাই ভারী হয়ে যাবে।

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

এটি সহীহ হাদীসের উপর ভিত্তি করেই বলা হয়। হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর e থেকে বর্ণিত। রাসূল c ইরশাদ করেছেন- ” إِنَّ نُوحًا عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ، دَعَا ابْنَيْهِ، فَقَالَ: إِنِّي قَاصِرٌ ۞ عَلَيْكُمَا الْوَصِيَّةَ، آمُرُكُمَا بِاثْنَتَيْنِ، وَأَنْهَاكُمَا عَنِ اثْنَتَيْنِ، أَنْهَاكُمَا عَنِ الشِّرْكِ وَالْكِبْرِ، وَآمُرُكُمَا بِلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، فَإِنَّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَمَا فِيهِمَا لَوْ وُضِعَتْ فِي كِفَّةِ الْمِيزَانِ، وَوُضِعَتْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ فِي الْكِفَّةِ الْأُخْرَى، كَانَتْ أَرْجَحَ، وَلَوْ أَنَّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ كَانَتَا حَلْقَةً، فَوُضِعَتْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ عَلَيْهمَا، لَفَصَمَتْهَا، أَوْ لَقَصَمَتْهَا، وَآمُرُكُمَا بِسُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ، فَإِنَّهَا صَلَاةُ كُلِّ شَيْءٍ،، وَبِهَا يُرْزَقُ كُلُّ شَيْءٍ “ إسناده صحيح. الصقعب بن زهير: روى عنه جمع، ووثقه أبو زرعة، وذكره ابن حبان في “الثقات”، وقال أبو حاتم: شيخ ليس بالمشهور. وباقي رجاله ثقات رجال الشيخين. جرير والد وهب: هو ابن حازم. وسلف برقم ۞ من طريق حماد بن زيد، عن الصقعب، به. হযরত নূহ যখন মৃতুশয্যায় তখন তিনি স্বীয় ছেলে ডাকলেন। তারপর বললেন, আমি মুমুর্ষ হালাতে আছি। আমি তোমাকে দু’টি অসিয়ত করছি। দু’টি বিষয়ের আদেশ করছি আর দু’টি বিষয় থেকে নিষেধ করছি। নিষেধ করছি শিরক ও কবিরা গুনাহ করা থেকে। আর আদেশ করছি “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়তে। কেননা, যদি এ কালিমা এক পাল্লায় রাখা হয়, আর অপর পাল্লায় সমস্ত আসমান ও জমিন রাখা হয়, তবে কালিমার পাল্লা ঝুঁকে যাবে। আর যদি সমস্ত আসমান জমিন একটি বৃত্তে পরিণত হয়ে যায়, তবু এ কালিমা সে বৃত্তকে ভেঙ্গে আল্লাহ তাআলার কাছে পৌঁছে যাবে। আর তোমাদের আদেশ করছি “সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী” পড়তে। কেননা, এটিই সমস্ত বস্তুর ইবাদত এর দ্বারাই সমস্ত বস্তুকে রিযিক দেয়া হয়। হাদীসটির সনদ সহীহ। মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৭১০১ মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-১৫৪ গায়াতুল মাকসাদ, হাদীস নং-৪৫৮৭ মাজমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-৭১২৪ আলমুসনাদুল জামে, হাদীস নং-৮৩২৩ মুন্তাখাব হাদীস, ঈমান অধ্যায়-২৪-২৫

- والله اعلم باالصواب -

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২৩ এপ্রিল, ২২