শ্বাশুরী বদমেজাজী হলে কী করবে

আহলে হ্বক বাংলা মিডিয়া সার্ভিসবিবিধ৯ মে, ২১

প্রশ্ন

শ্বাশুরী বদমেজাজী হলে কী করবে?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

ইসলামী আইনগতভাবে শ্বশুর শ্বাশুরীর খেদমাত করা স্ত্রীর উপর ফরজ নয়। কিন্তু নৈতিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে এটি জরুরী বিষয়। একজন স্ত্রী তার স্বীয় মা-বাবা ছেড়ে স্বামীর গৃহে আসে। এখানে যদি স্বামীর মাকে নিজের মা মনে করতে পারে, স্বামীর পিতাকে নিজের পিতা মনে করতে পারে, তাহলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। সেই সাথে শ্বশুর ও শ্বাশুরী যদি পুত্রবধুকে নিজের মেয়ে মনে করে, তাহলে আসলে সংসারে অশান্তি-ঝগড়া থাকার কথা নয়। শুধুমাত্র এ দৃষ্টিভঙ্গির অভাবের কারণে আমাদের সমাজে বউ-শ্বশুরির এ দ্বন্দ। নিজের কষ্ট হলেও বৃদ্ধ বয়সের অসহায় মানুষটির প্রতি লক্ষ্য করে যদি একটু কষ্ট বরদাশত করে থাকেন, তাহলে আমরা আশাবাদী আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনার এ ধৈর্য্যরে জন্য অনেক সওয়াব ও পূণ্য দান করবেন। তাই আপনাকে আমাদের বোন হিসেবে বলছি, বৃদ্ধ মানুষটির মনে কষ্ট না দিয়ে একসাথে থাকার চেষ্টা করুন। এ সময়টি একসময় আপনারও আসবে। মানুষের বয়স বেড়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই অনেক উপসর্গ দেখা দেয়। অযথাই কথা বলতে মনে চায়। শিশুদের মতই উপদ্রব করার মানসিকতা সৃষ্টি হয়। তাই নিজগুণে এসবকে ক্ষমা করে দিয়ে একসাথে থাকার জন্য চেষ্টা করুন। বাকি তারপরও যদি একসাথে থাকা সম্ভব না হয়। তাহলে পৃথক হয়ে যাওয়া জায়েজ আছে। আলাদা বাসস্থানে থাকা আপনার জন্য বৈধ আছে। কিন্তু আপনার স্বামীর জন্য তার মায়ের পূর্ণ খেয়াল রাখা, সাধ্যানুযায়ী খেদমাত করা আবশ্যক থেকে যাবে। কোনভাবেই মাকে কষ্ট দেয়া তার জন্য জায়েজ হবে না। মা যত খারাপই হোক না, মাকে শরয়ী কারণ ব্যতিত কষ্ট দেয়া হারাম।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • সূরা: বাক্বারা, আয়াত: ১৫৩
  • সূরা: سورة الإسراء, আয়াত: ২৪

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ৯ মে, ২১