শাফেয়ী মাযহাব অনুপাতে আসরের সময় হলে তাদের সাথে আসরের নামায পড়া যাবে কি

আহলে হ্বক বাংলা মিডিয়া সার্ভিসনামায১৯ জুন, ২৩

প্রশ্ন

আমি চায়নাতে থাকি, ছাত্র। আমাকে প্রায় সময় ইমামতি করতে হয়। কিন্তু মুসল্লি বেশীরভাগ অন্য মাযহাবের হওয়ায় আসরের নামায এর সময় তাদের মাযহাব অনুসারে ঠিক করেছে… অর্থাৎ বস্তুর ছায়া বস্তুর সমান হলেই তাদের আসরের ওয়াক্ত হয়। এই অবস্থায় আমি কি ওই সময় ইমামতি করতে পারব? কিংবা আমি কি তাদের কারও পিছনে নামায পড়তে পারব? যেহেতু আমাদের মাযহাব অনুসারে তখনো আসরের ওয়াক্ত হয় নাই। হানাফি মাযহাবের ও আমরা ১০-১২ জন নামাযি আছি… নাকি তাদের নিয়ে নতুন করে আমাদের মাযহাব অনুসারে জামাতের ব্যাবস্থা করব?? উল্লেখ্য আমরা নিজেরা হোস্টেলের একটি রুমে নামাযের ব্যবস্থা করে নামযা পড়ি।

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

১ম প্রশ্নের উত্তর

যেহেতু এ বিষয়ে আমাদের ইমামদের মাঝেই মতভেদ হয়ে গেছে। তাই ফক্বীহগণ বলেন, উত্তম ও সতর্কতা এটাই যে, বস্তুর ছাড়া দ্বিগুণ হওয়ার আগে আসরের নামায পড়বে না। তবে যদি কেউ পড়ে নেয়, তাহলে মতভেদ থাকার কারণে নামাযকে বাতিল বলা যাবে না। বরং সহীহ হয়ে গেছে বলেই ধতব্য হবে। তাই ফিতনার আশংকা না হলে আলাদা পড়া উত্তম। তবে ফিতনার শংকা হলে এক সাথে পড়া যাবে।

قال المشائخ: ينبغى أن لا يصلى العصر حتى يبلغ المثلين، ولا يؤخر الظهر إلى أن يبلغ المثل ليخرج من الخلاف فيها، (الحلبى الكبير، كتاب الصلاة، بحث فروع فى شرح الطحاوى-227، رد المحتار، كتاب الصلاة-1/359، البحر الرائق، كتاب الصلاة-1/425-426، حاشية الطحطاوى على الدر المختار، كتاب الصلاة-1/173) قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: أَنَا أُخْبِرُكَ، صَلِّ الظُّهْرَ، إِذَا كَانَ ظِلُّكَ مِثْلَكَ.وَالْعَصْرَ، إِذَا كَانَ ظِلُّكَ ۞ مِثْلَيْكَ.

হযরত আবূ হুরায়রা e বলেন, আমি তোমাদের জানাচ্ছি যে, যখন তোমার ছায়া তোমার সমান হয়, তখন যোহরের নামায পড়, আর যখন তা দ্বিগুণ হয়, তখন আসরের নামায পড়। -মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-১২, ৯, মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-২০৪১, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২১৭৩৪

- والله اعلم باالصواب -

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ১৯ জুন, ২৩