আমাদের এলাকায় প্রায় সর্বত্র শবে-বরাত উপলক্ষে হালুয়া, রুটি ও খিচুড়ী বিতরণ এবং মসজিদ আলোকসজ্জা করা হয়। খুব আতশবাজি করা হয়। ইসলামী শরী‘আত মতে তা কতটুকু সঠিক।
- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -
শবে-বরাতের ফযীলত “হাসান” হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। কিন্তু দীনী যে কোন বিষয় পালন করতে হলে তা অবশ্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া-সাল্লাম ও সাহাবায়ে কিরামের নির্দেশিত পদ্ধতিতে হতে হবে। মনগড়া ও ভিত্তিহীন পদ্ধতিতে দীনী কোন বিষয়ের উপর আমল করা বিদ‘আত, গোমরাহী ও গোনাহের কাজ। শবে-বরাতে নামায, তিলাওয়াত, যিকির, দু’আ-ইস্তিগফার এবং দিনের বেলায় রোযা রাখা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। সুতরাং শবে-বরাতের করণীয় কাজগুলোর মধ্যে আমাদের আমল সীমিত রাখা জরুরী।
শবে-বরাতের হালুয়া, রুটি বা খিচুড়ী বিতরণ এসব কিছুই প্রমাণিত নেই। সুতরাং এসব কাজকে শবে-বরাতের করণীয় এবং সাওয়াবের কাজ মনে করলে গোনাহ হবে। তেমনিভাবে আলোকসজ্জা অগ্নিপুজকদের ধর্মীয় নির্দশন। সুতরাং তা পালন করা মুসলমানদের জন্য নাজায়িয। আর আতশবাজি তো অনেকগুলো গোনাহের সমষ্টি। যেমন- (ক) অপচয় (খ) আতংক সৃষ্টি (গ) লোকদের জান-মালের ক্ষতি (ঘ) নিজে বরকতের রাত্রে ইবাদত থেকে বঞ্চিত থাকা (ঙ) অন্যদের ইবাদত-বন্দেগীতে বাধা সৃষ্টি করা ইত্যাদি। এগুলোর প্রত্যেকটা হারাম এবং গোনাহে কাবীরা। সুতরাং মুসলমানদের জন্য এগুলো থেকে বিরত থাকা এবং সন্তানকে বিরত রাখা অপরিহার্য কর্তব্য।
- والله اعلم باالصواب -