লিল্লাহ বোর্ডিং-এর জন্য সদকা, ফিতরা ও কুরবানীর চামড়ার টাকা তুলে শিক্ষকদের বেতন দেয়া

ইসলামী জিন্দেগীমসজিদ-মাদ্রাসার বিধান২২ ফেব, ২১

প্রশ্ন

লিল্লাহ বোর্ডিং-এর জন্য সদকায়ে ফিতর এবং কুরবানীর চামড়ার টাকা তুলে উক্ত টাকা বোর্ডিং-এ খরচ না করে হিলার মাধ্যেমে মাদরাসার শিক্ষকদের বেতন জায়িয কি-না? যদি জায়িয থাকে, তাহলে তার পদ্ধতি কি?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

যাকাত, সদকায়ে ফিতরা ও কুরবানীর চমড়ার মূল্য ইত্যাদি কেবলমাত্র গরীব-মিসকিনের হক। গরীব-মিসকীন ব্যতীত কোন ধনী বা নেসাব পরিমাণ মালের মালিককে দান করলে বা তার জন্য খরচ করলে, তা আদায় হবে না। অনুরুপভাবে এ টাকার দ্বারা মসজিদ, মাদরাসা বা যে কোন একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন দেওয়াও জায়িয হবে না। উক্ত টাকা ইলমে দ্বীন শিক্ষার্থী গরীব অসহায় ছাত্রদের খাবার-দাবার, কাপড়-চোপড় এবং শিক্ষার উপকরণ ইত্যাদির জন্য মালিক বানানোর ভিত্তিতে প্রদান করা জরুরী। তবে মাদরাসার সাধারণ ফাণ্ডে যদি কোন টাকা পয়সা না থাকে এবং শিক্ষকদের বেতন না দেয়ার দরুন মাদরাসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়, যদিও এরুপ হওয়ার কথা নয়। কারণ, কোন দ্বীনী প্রতিষ্ঠানে সহীহভাবে ত’লীম-তরবিয়্যত হলে ও মুদাররিসগণ আল্লাহর উপর ভরসা রাখলে এবং জনসাধারণের মধ্যে ফরযে আইন পরিমাণ তা’লীমের যিম্মাদারী আদায় করলে সে প্রতিষ্ঠানে আল্লাহর মদদ অব্যাহত থাকবেই। সাধারণতঃ সহীহভাবে পরিচালনার ত্রুটির কারণেই বরকত খতম হয়ে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অথচ সেদিকে আমাদের দৃষ্টি যায় না বললেই চলে।

যাই হোক এরুপ অপারগতার সময় প্রয়োজনের তাগিদে সাময়িকভাবে শরয়ী তামলীকের মাধ্যমে উক্ত টাকার দ্বারা বেতন দেওয়ার অবকাশ আছে। তবে শরয়ী তামলীক সহজ ব্যাপার নয়। এটা কোন বিজ্ঞ মুফতী থেকে সরাসির বুঝে নেয়া উচিত। যাতে করে মানুষের যাকাত ও কুরবানী বরবাদ না হয়ে যায়।

- والله اعلم باالصواب -

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২২ ফেব, ২১