রোযা রেখে কাফফারা আদায়ে সক্ষম হওয়া সত্বেও ফিদিয়া দেওয়া

আহলে হ্বক বাংলা মিডিয়া সার্ভিসরোজা১৩ মে, ২১

প্রশ্ন

কোন ব্যক্তি জীবনে অনেক রোজা পানাহার করে ভেঙেছে এবং অনেক রোজা রাখেনি। সে একাধারে ৬০ টি রোজা রাখতে সক্ষম। কিন্তু সে কি ৬০ টি রোজা না রেখে তার বদলে অন্য কোন উপায়ে কাফফারা আদায় করতে পারবে? এবং রোজা গুলোর ক্বাযা আদায় না করে ফিদিয়া দিলে জায়েজ হবে কিনা?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

কাফফারার রোযা রাখতে সক্ষম ব্যক্তি অন্য কোন উপায়ে কাফফারা আদায় করলে কাফফারা আদায় হবে না। যে ব্যক্তি লাগাতার ৬০টি রোযা রাখতে সক্ষম নয়, কেবল তার জন্য ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা খানা বা দুই জোড়া কাপড় দেয়ার বিধান। অর্থাৎ যার উপর কাফফারা আবশ্যক সে যদি লাগাতার ৬০দিন রোযা রাখতে সক্ষম না হয়, তাহলে সে ৬০ মিসকিনকে দুই বেলা খানা খাওয়াবে বা দুই জোড়া জামা দিয়ে দিবে। যা সদকায়ে ফিতির পরিমাণ অর্থ হয়ে থাকে। কিন্তু ৬০ দিন লাগাতার রোযা সক্ষম হলে তার জন্য এভাবে ৬০ জন মিসকিনকে খানা খাওয়ালে বা কাপড় দিলে তার কাফফারা আদায় হবে না। রোযার কাযার আদায় করতে সক্ষম থাকা অবস্থায় রোযার ফিদিয়া দেয়া অনর্থক কাজ ছাড়া কিছু নয়। কারণ সক্ষম থাকা অবস্থায় ফিদিয়া দিলে রোযা রাখার দায়িত্ব থেকে মুক্ত হবে না। তাই রোযা রাখতে সক্ষম হলে কাযাই আদায় করতে হবে। -বিনায়া শরহুল হিদায়া-৪/৩০৮

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ فَقَالَ: هَلَكْتُ، قَالَ: «وَمَا أَهْلَكَكَ؟» قَالَ: وَقَعْتُ عَلَى امْرَأَتِي فِي رَمَضَانَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَعْتِقْ رَقَبَةً» قَالَ: لَا أَجِدُ، قَالَ: «صُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ» قَالَ: لَا أُطِيقُ، قَالَ: «أَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا» • হযরত আবূ হুরায়রা e থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল c এর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। রাসূল c জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাকে কে ধ্বংস করেছে? সাহাবী বললেন, রমজানে আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে ফেলেছি। রাসূল c তাকে বললেন, তাহলে এর বদলে একটি গোলাম আযাদ কর। সাহাবী বললেন, আমি এতে সক্ষম নই। নবীজী c বললেন, তাহলে লাগাতার দুই মাস রোযা রাখ। সাহাবী বললেন, আমি এতেও সক্ষম নই। তখন রাসূল c বললেন, তাহলে তুমি ৬০ জন মিসকিনকে খানা খাওয়াও। -সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৬৭১; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৬৯৪৪; মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-১১০৭; সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১৯৪৯; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৩৫২৭

- والله اعلم باالصواب -

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ১৩ মে, ২১