রুকু সিজদার তাসবীহ তিনবারের কম পড়া

মাসিক আল কাউসারনামায১৩ মার্চ, ২১

প্রশ্ন

আমার ব্যস্ততার কারণে কখনো দ্রুত নামায পড়তে গিয়ে রুকু সিজদায় তাসবীহ তিনবার পড়া হয় না; বরং কম হয়ে যায়। এতে নামাযে কোনো সমস্যা হবে কি? আবার কখনো জামাতে নামায পড়তে গিয়ে ইমামের সাথে রুকুতে শরিক হই। তখন দেখা যায় একবার বা দু’বার তাসবীহ পড়তেই ইমাম উঠে যান। তখন কী করণীয়?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

রুকু সিজদায় কমপক্ষে তিনবার তাসবীহ পড়া সুন্নত। ইচ্ছাকৃত তিনবারের কম তাসবীহ পড়া সুন্নত পরিপন্থী। হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ c ইরশাদ করেন, সবচেয়ে নিকৃষ্ট চোর ঐ ব্যক্তি, যে নামাযে চুরি করে। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, নামাযে কীভাবে চুরি করে? রাসূলুল্লাহ c বললেন, নামাযের রুকু, সিজদা ঠিকভাবে আদায় না করা(ই হচ্ছে নামায চুরি করা)। -মুসনাদে আহমদ ৩/৫৬

সুতরাং একাকী নামাযে এবং জামাতে উভয় ক্ষেত্রে অন্ততঃ তিনবার তাসবীহ পড়বে। তবে তিনবার পড়ার পূর্বেই যদি ইমাম উঠে যান তাহলে ইমামের অনুসরণের জন্য মুক্তাদীও উঠে যাবে। কারণ ইমামের অনুসরণ করা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে ইমামের সাথে যতবার তাসবীহ পড়া যায় তাই যথেষ্ট। তিনবার পুরো করা লাগবে না।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • মুসনাদে আহমদ, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৫৬
  • শরহুল মুনইয়াহ, পৃষ্ঠা: ২৮২
  • ফাতাওয়া হিন্দিয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৭৪
  • আদ্দুররুল মুখতার, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৪৯৪
  • আলমুহীতুল বুরহানী, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১১৫
  • ফাতাওয়া তাতারখানিয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৫৫৪
  • ফাতাওয়া হিন্দিয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৯০
  • আদ্দুররুল মুখতার, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৪৯৫

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ১৩ মার্চ, ২১