রমজান মাসে হায়েজ শুরু হলে কী করবে ওষুধ খেয়ে হায়েজ বন্ধ করে দিবে

আহলে হ্বক বাংলা মিডিয়া সার্ভিসরোজা১২ জানু, ২২

প্রশ্ন

প্রিয় হুজুর, প্রথমে আমার সালাম নিবেন। আমার স্ত্রীর হঠাৎ গতরাতে মাসিক শুরু হয়েছে। এখন তার রোজা পালন এবং কোরআন পড়া আজ সবই বন্ধ। কিন্তু একটি উপায় আছে অনেকেই উপায়টি গ্রহণ করে। সেই উপায়টি হলো ঔষধ সেবন। ঔষুধ আজ সেবন করলে আজই মাসিক ২০/২৫ দিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। এই উপায় অবলম্বন করে কাল থেকে রোজা রাখতে চাচ্ছে আমার স্ত্রী। এখন হুজুর সেটা কি ইসলামে গ্রহন যোগ্য হবে বা রোজা আদায় হবে। হজ্বেও অনেক মহিলা এই পদ্ধতি গহেন করে। দ্রুত সমাধান দিলে হুজুর আপনার নিকট কৃতাথ থাকিব। ধন্যবাদ, মোঃইয়াসির জরিফ

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

প্রতি মাসে মহিলাদের হায়েজ হওয়াটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক বিষয়। এটা আল্লাহ তাআলার নেজাম। রমজানে এটাকে বন্ধ করে রাখাটা উচিত হবে না। এতে শারিরীকভাবে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা যেহেতু হায়েজের কারণে রোযা না রাখার অনুমতি প্রদান করেছেন, তাই সে সময় হায়েজ স্বাভাবিক রেখে রোযা না রাখলে কোন সমস্যা নেই। পরে তা কাযা করে নিবে। ইনশাআল্লাহ এতে সওয়াব হবে বেশি। কারণ রমজানে সবার সাথে রোযা রাখা সহজ। কিন্তু রমজানের পর একা একা রোযা রাখাটা কঠিন। আর যে ইবাদত পালন যত কষ্টকর, তার সওয়াবও তত বেশি। তবে যদি কোন মহিলা রমজান আসার আগেই এবং হায়েজ শুরু হওয়ার আগে ওষুধ খেয়ে তা বন্ধ করে দেয়, তাহলে তার জন্য রোযা রাখতে হবে। কারণ, এতে করে তার উপর রোযা না রাখার কোন কারণ বিদ্যমান থাকছে না। তাই তার জন্য রোযা রাখা আবশ্যক হবে। কিন্তু যদি রমজান চলে আসে, আর রক্ত জারি হয়ে যাওয়ার পর ওষুধ খেয়ে বন্ধ করে দেয়, তাহলে হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা কমপক্ষে ৩ দিন পর্যন্ত রোযা রাখতে পারবে না। এর পর থেকে রোযা রাখা আবশ্যক। যেহেতু হায়েজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। আর হায়েজ শুরু হলে এর সর্বনি¤œ সময়সীমা হল তিন দিন। তাই হায়েজ শুরু হতেই ওষুধ খেয়ে বন্ধ করে ফেললেও ধরা হবে হায়েজ জারী আছে তিনদিন পর্যন্ত। তিন দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলে হায়েজ বন্ধ হয়ে গেছে হিসেবে রোযা রাখা আবশ্যক। -কিতাবুল ফাতওয়া-৩/৪০৫ فى خلاصة الفتاوى- اعلم بان الصوم هو الكف عن المفطرات شرعا فى وقته بنية، يشرط من اهله، واهله العاقل البالغ المسلم, و فى المرأة الطهارة من الحيض النفاس (خلاصة الفتاوى، كتاب الصوم، الفصل الثانى-1/251) وفى الهداية- أَقَلُّ الْحَيْضِ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ وَلَيَالِيهَا، وَمَا نَقَصَ مِنْ ذَلِكَ فَهُوَ اسْتِحَاضَةٌ، (هداية، كتاب الطهارة، باب الحيض والاستحاضة-1/62، رد المحتار، كتاب الطهارة، باب الحيض-1/476، البحر الرائق، كتاب الطهارة، باب الحيض-1/191

- والله اعلم باالصواب -

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ১২ জানু, ২২