রবিউল আউয়ালের রোযা রাখা

ইসলামী জিন্দেগীরোজা২৩ ফেব, ২১

প্রশ্ন

(ক) রবিউল আউয়াল মাসে আমাদের বিশেষ কি করণীয়?

(খ) ১২ই রবিউল আউয়ালে রোযা রাখার বিধান শরী‘আতে আছে কি?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

মাহে রবিউল আওয়াল নিঃসন্দেহে ফযীলতের মাস, এ মাসের ফযীলতের জন্য এটাই যথেষ্ট যে, এ মাসে দু’জাহানের সরদার, সায়্যিদুল মুরসালীন, রাহমাতুল্লীল আলামীন, খাতামুন নাবিয়্যীন মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া-সাল্লাম-এর এই পৃথিবীতে আগমন হয়েছে- যে সময় বা কাল যত বেশী ফযীলতপূর্ণ হয়, সে মাসের ইবাদত আল্লাহ তা‘আলার নিকট তত বেশী পছন্দনীয় হয়, আর ঐ সময় বা কালে শরী‘আত ও সুন্নাত বিরোধী কাজ ততবেশী অপছন্দীয়। এখন জানার বিষয় যে, ‘ইবাদত’ কাকে বলে? আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া-সাল্লাম যে কাজ বা আমল করা স্বীকৃতি দিয়েছেন বা যা করা পছন্দ করেন সেটাকে আল্লাহ পাকের নির্দেশিত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া-সাল্লাম-এর অনুসৃত পন্থায় করার নামই ‘ইবাদত’। এর ব্যতিক্রম যে কাজ তা সবই বিদ‘আত ও বর্জনীয়।

(ক) রবিউল আউয়াল মাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া-সাল্লাম-এর জন্ম ও ওফাতকে কেন্দ্র করে তেমন কোন ব্যতিক্রমধর্মী আমল কুরআন, হাদীস বা মুজতাহিদীনে উম্মত থেকে বর্ণিত আছে বলে জানা যায় নি।

(খ) ১২ই রবিউল আউয়ালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া-সাল্লাম এর জন্ম বা ওফাতকে কেন্দ্র কের রোযা রাখার কোন বিধান শরী‘আতে নেই।

- والله اعلم باالصواب -

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২৩ ফেব, ২১