যে ব্যক্তি রামাদান মাসে দশদিন ইতিকাফ করবে তার জন্য দুটি হজ্জ এবং দুটি উমরাহ করার সমতূল্য হয়ে যাবে” মর্মের হাদীসটি কি জাল

আহলে হ্বক বাংলা মিডিয়া সার্ভিসরোজা১২ জানু, ২২

প্রশ্ন

প্রশ্ন এক নামধারী আহলে হাদীস নিচের বক্তব্যটি পেশ করেছে ফাযায়েলে আমালের একটি হাদীস নিয়ে। দয়া করে এ বিষয়ে সঠিক তাহকীক উপস্থাপন করার অনুরোধ করছি। লোকটি বক্তব্য- রাসুল ﷺবলেছেন, -‘যে ব্যক্তি রামাদান মাসে দশদিন ইতিকাফ করবে তার জন্য দুটি হজ্জ এবং দুটি উমরাহ করার সমতূল্য হয়ে যাবে। -হাদীসটি জাল। . এটি বায়হাকী ‘আশ-শুআব’গ্রন্থে হুসাইন ইবনু আলী এর হাদীস হতে মারফূ হিসাবে বর্ণনা করে বলেছেন, -‘সনদটি দূর্বল। মুহাম্মদ ইবনু যাযান মাতরূক’। তার সম্পর্কে ইমাম বোখারী বলেন, -‘তার হাদীস লিখা যাবে না’। তাতে আম্বাসা ইবনু আব্দির রহমানও রয়েছেন। তার সম্পর্কে ইমাম বোখারী বলেন, -‘মুহাদ্দিসগণ তাকে পরিত্যাগ করেছেন’। ইমাম যাহাবী ‘আয-ষো’য়াফা গ্রন্থে বলেছেন, -‘তিনি মাতরূফ, তাকে জাল করার দোষে দোষী করা হয়েছে’। ফায়যুল কাদীর গ্রন্থে এরুপই এসেছে। এ আম্বাসা সম্পর্কে আবু হাতিম বলেছেন, -‘তিনি হাদীস জাল করতেন’। যেমনটি ইমাম যাহাবীর ‘আল-মীযান গ্রন্থে এসেছে। অত:পর তিনি তার কতিপয় হাদীস উল্লেখ করেছেন। এটি সেগুলোর একটি। তার সূত্রেই তাবারানী ‘আল-মু’জামুল কাবীর’ (১/২৯২/১) গ্রন্থে এবং আবু তাহের আল-আম্বারী ‘আল-মাশীখাহ (কাফ ১৬২/১-২) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। ইবনু হিব্বান (২/১৬৮) বলেন, -‘তিনি বহু বানোয়াট ও ভিত্তিহীন হাদীসের অধিকারী’। এই হাদীস ফাজায়েলে আমলের, ফাজায়েলে রমযান অধ্যায়ে ও পাওয়া যায়, তবে সাথে আরও কিছু জাল বর্ণনা সহ। আল্লামা শারানী কাশফুল গুম্মাহ কিতাবে হুজুর ﷺএর এরশাদ নকল করিয়াছেন যে, যে ব্যক্তি রমযান মাসের দশদিন ইতিকাফ করবে সে দুই হজ্জ এবং দুটি উমরার সওয়াব পাইবে। আর যে ব্যক্তি জুমা মসজীদে মাগরীব হতে এশা পর্যন্ত ইতিকাফ করবে এবং এ সময় কাহারো সহিত কথা না বলিয়া নামাজ ও কুরাআন তিলাওয়াতে মগ্ন থাকিবে, আল্লাহ তায়ালা তাহার জন্য জান্নাতে একটি মহল তৈরী করে দিবেন। ( ফাজায়েলে আমল পৃষ্ঠা-৯৬২/রামযান পৃষ্ঠা-৮৬ ) শাইখ জাকারিয়া হাদীসটির কোন সনদ ও উসূল বর্ণনা করেন নি। এটি বিশ্ব দাওয়াত ও তাবলীগরে নামে যে জামায়াত চলছে, তাদেরকে জাল হাদীসে ফেলার ষড়যন্ত্র নয় তো? আল্লাহ তা’আলা আমাদের সুমতি দিন।

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

শাইখুল হাদীস আল্লামা জাকারিয়া i তার সুবিখ্যাত ফাযায়েল আমল নামক বিষয় ভিত্তিক সংকলিত হাদীস গ্রন্থে ৯৬২ পৃষ্ঠার রমজান অধ্যায়ের ৮৬ নং পৃষ্ঠায় লিখেন- আল্লামা শারানী i কাশফুল গুম্মাহ কিতাবে রাসূল c এর ইরশাদ নকল করেছেন যে, যে ব্যক্তি রমজান মাসে দশদিন এতেকাফ করবে, সে দুই হজ্ব ও দুই উমরার সওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি জামাআতে নামায পড়া হয় এমন মসজিদে মাগরিব হতে এশা পর্যন্ত এতেকাফ করবে এবং ঐ সময় কারো সাথে কথা না বলে নামায ও কুরআন তিলাওয়াতে মগ্ন থাকবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি মহল তৈরী করে দিবেন। -ফাযায়েলে আমল-৯৬২/ফাযায়েলে রমজান-৮৬ এই হল ফাযায়েলে আমলের বক্তব্য। যাতে আল্লামা শারানী i এর কাশফুল গুম্মাহ কিতাবের রেফারেন্স দিয়ে উক্ত বর্ণনাটি আনা হয়েছে। এবার চলুন, আমরা আল্লামা শারানী i এর কাশফুল গুম্মাহ গ্রন্থটি দেখি। আল্লামা শারানী i কাশফুল গুম্মাহ গ্রন্থের ইতিকাফ অধ্যায়ের শুরুতেই উপরোক্ত হাদীস দু’টি এনেছেন। যার শব্দ হল- قال الحسين بن على رضى الله عنهما كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: من اعتكف عشرا فى رمضان كان كحجتين وعمرتين، وكان صلى الله عليه وسلم يقول من اعتكف ما بين المغرب والعشاء فى مسجد جماعة لم يتكلم الا بصلاة وقرآن كان حقا على الله ان يبنى له قصرا فى الجنة (كشف الغمة للشعرانى- كتاب الاعتكاف-306 এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে- শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩৬৮০। কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২৪০০৬। এ হাদীসটি জঈফ। কিন্তু জাল নয়। এ হাদীসকে জাল বলে কোন মুহাদ্দিসই মন্তব্য করেননি। অধুনা বিশ্বের একজন বিতর্কিত হাদীস বিশারদ নাসীরুদ্দীন আলবানী i শুধু এ হাদীসকে জাল বলে মন্তব্য করেছেন। বাকি পূর্ববর্তী সকল মুহাদ্দিসীনে কেরাম এ হাদীসকে জঈফ বললেও কেউ একে জাল তথা বানোয়াট বলেননি। আর ফযীলতের ক্ষেত্রে জঈফ হাদীস গ্রহণযোগ্য। এতে জমহুর মুহাদ্দিসীনে কেরামের মাঝে কোন মতভেদ নেই। قال العلماء من المحدثين والفقهاء وغيرهم يجوز ويستحب العمل فى الفضائل والترغيب والترهيب بالحديث الضعيف ما لم يكن موضوعا (الأذكار-7-8 মুহাদ্দিসীন ও ফুক্বাহায়ে কেরাম এবং অন্যান্য ওলামায়ে কেরাম বলেন-দুর্বল হাদীসের উপর ফাযায়েল ও তারগীব তথা উৎসাহ প্রদান ও তারহীব তথা ভীতি প্রদর্শন এর ক্ষেত্রে আমল করা জায়েজ ও মুস্তাহাব। যখন উক্ত হাদীসটি জাল না হয়। -আল আজকার-৭-৮ এ মূলনীতিটি নিম্ন বর্ণিত বিজ্ঞ ব্যক্তিগণও বলেছেন-

1. মোল্লা আলী কারী i -মওজুয়াতে কাবীর-৫, শরহুন নুকায়া-১/৯

2. ইমাম হাকেম আবু আব্দুল্লাহ নিশাপুরী i -মুস্তাদরাকে হাকেম-১/৪৯০

3. আল্লামা সাখাবী i - আল কাওলুল বাদী’-১৯৬

4. হাফেজ ইবনে তাইমিয়া হাম্বলী i - মাজমুআ ফাতওয়া ইবনে তাইমিয়া-১/৩৯ আহলে হাদীস নামধারী গায়রে মুকাল্লিদগণও এ মূলনীতিতে একমত

1. শায়খুল কুল মিয়া নজীর হুসাইন সাহেব দেহলবী i - ফাতওয়া নজীরিয়া-১/২৬৫

2. নওয়াব সিদ্দীক হাসান খান- দলীলুত তালেব আলাল মাতালিব-৮৮৯ (নওয়াব সিদ্দীক হাসান খান সাহেবকে গায়রে মুকাল্লিদদের আকাবীরদের অন্তর্ভূক্ত হিসেবে ধর্তব্য করা হয়। -আপকি মাসায়েল আওর উনকা হল কুরআন ওয়া সুন্নাত কি রওশনী মে, লেখক-মুবাশশির আহমাদ রাব্বানী-২/১৮১

3. মাওলানা সানাউল্লাহ ওমরতাসরী i - আখবারুল হাদীস-১৫ শাওয়াল ১৩৪৬ হিজরী।

4. হাফেজ মুহাম্মদ লাখওয়ী i - আহওয়ালুল আখরাস-৬

5. মাওলানা আব্দুল্লাহ রূপরী সাহেব i - ফাতওয়া আহলে হাদীস-২/৪৭৩ সুতরাং এ হাদীসকে জাল বলতে পারেন সেসব কুপমন্ডুক ভাইয়েরা, যাদের দৌড় আলবানী সাহেবের বিতর্কিত গবেষণার কুপ পর্যন্তই। সেই সাথে মুহাদ্দিসীনে কেরামের জারাহ তাদীলের বিশাল সমুদ্র সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ ও জাহিল। নাসীরুদ্দীন আলবানী এমন একজন ব্যক্তি যার তাহকীকের উপর নির্ভর করার মানে হল, অন্ধ হয়ে আরেক অন্ধের পিছনে ছুটা। শায়খ হাবীবুর রহমান আজমী i তাঁর সম্পর্কে লিখেছেন,

و ليس يعني الألباني بذلك إلا أنه يجب علي الناس أن يتخذوه إماما و يقلدوه تقليدا أعمي، ولا يعتمدوا علي إبن تيمية و لا علي غيره من الثقات الأثبات من المحدثين، في ثبوت الأحاديث حتي يسألوا الألباني و يرجعوا إلي تحقيقاته! “ অর্থাৎ নাসীরুদ্দিন আলবানীর একথা বলার দ্বারা মূল উদ্দেশ্য হল, মানুষ যেন আবশ্যকভাবে তাঁকে ইমাম বানায় এবং তাঁর অন্ধ অনুকরণ করে। এবং যতক্ষণ পর্যন্ত আলবানীকে জিজ্ঞেস না করবে এবং তার বিশ্লেষণকে গ্রহণ না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লামা ইবনে তাইমিয়াসহ অন্য কোন বিশ্বস্ত ও গভীর পাণ্ডিত্যের অধিকারী মুহাদ্দিসের হাদীসের উপরও নির্ভর করবে না।” মূলতঃ শায়খ নাসীরুদ্দিন আলবানী পৃথিবী বিখ্যাত অধিকাংশ মুহাদ্দিসের হাদীসের সমালোচনা করেছেন। এবং এ সমালোচনার ক্ষেত্রে তিনি হাদীসশাস্ত্রের কোন মূলনীতিরও তোয়াক্কা করেননি। বড় বড় মুহাদ্দিসগণ যে সমস্ত হাদীসকে সহীহ বলেছেন, সেগুলোকে তিনি যয়ীফ বলেছেন, আবার তারা যেটাকে যয়ীফ বলেছেন, তিনি নিজের মত প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে সেগুলোকে সহীহ বলেছেন। শায়খ নাসীরুদ্দিন আলবানী একটি হাদীসকে এক কিতাবে সহীহ বলেছেন, অন্য কোথাও সেটিকে আবার যয়ীফ বলেছেন। এ ধরণের হাদীসের সংখ্যা একটি দু’টি নয়। অসংখ্য হাদীসের ক্ষেত্রে তিনি এ ধরণের স্ববিরোধীতার আশ্রয় নিয়েছেন; শায়খ হাবীবুর রহমান আজমী i তাঁর সম্পর্কে লিখেছেন, الشيخ ناصر الدين الالباني شديد الولوع بتخطئة الحذاق من كبار علماء الاسلام ولا يحابى في ذلك أحدا كائنا من كان ، فتراه يوهم البخاري ومسلما ، ومن دونهما ، ويغلط ابن عبد البر وابن حزم والذهبي وابن حجر والصنعانى ، ويكثر من ذلك حتى يظن الجهلة والسذج من العلماء ان الالباني نبغ في هذا العصرنبوغا يندر مثله “ শায়েখ নাসীরুদ্দিন আলবানী পৃথিবী বিখ্যাত গভীর পাণ্ডিত্যের অধিকারী আলেমদের ভুল ধরার ব্যাপারে চরম বেপরোয়া। এ পথে তিনি কাউকেই মুক্তি দেননি। আপনি দেখবেন! সে ইমাম বোখারী i , ইমাম মুসলিমসহ অপরাপর ইমামদের ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য করে। তিনি যুগশ্রেষ্ঠ আলেম ইবনে আব্দুল বার i , ইবনে হাযাম i , ইমাম যাহাবী i ইবনে হাজার আসকালানী i , ইমাম সানআনী i সহ আরও অনেককে ভুল সাব্যস্ত করার চেষ্টা করেছেন। অথচ অনেক অজ্ঞ এবং সাধারণ আলেম তাঁকে বর্তমান যুগের বিরল ব্যক্তিত্ব মনে করে থাকেন।” বর্তমান বিশ্বের যে সমস্ত আলেম শায়খ নাসীরুদ্দিন আলবানীর এসমস্ত ভ্রান্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন এবং এ সম্পর্কে কিতাব লিখেছেন তাদের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হল- ১. শায়খ হাবীবুর রহমান আজমী i । তাঁর রচিত কিতাবের নাম- الألباني شذوذه وأخطاؤه ২. উত্তর আফ্রিকার বিখ্যাত মুহাদ্দিস আব্দুল্লাহ আল-গুমারী i । তাঁর কিতাবের নাম হল- “القول المقنع في الرد على الألباني المبتدع” ৩. শায়েখ আব্দুল আযীয গুমারী- “بيان نكث الناكث المقعدي بتضعيف الحارث” ৪. শায়েখ মুহাম্মাদ বিন আহমাদ আল-খাজরাযী “الألباني تطرفاته” ৫. উস্তাদ বদরুদ্দিন হাসান দিয়াব দামেশকী- “أنوار المصابيح على ظلمات الألباني في صلاة التراويح” ৬. শামের বিখ্যাত মুহাদ্দিস আব্দুল্লাহ আল-হারারী, التعقب الحثيث على من طعن فيما صح من الحديث ৭. শায়েখ আব্দুল্লাহ বিন বায i أينَ يضع المصلي يده في الصلاة بعد الرفع من الركوع” ৮. শায়েখ ইসমাইল বিন মুহাম্মাদ আনসারী i تصحيحُ حديث صلاة التراويح عشرين ركعة والردّ على الألباني في تضعيفه” ৯. শায়েখ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ i كلماتٌ في كشف أباطيل وافتراءات” ১০. শায়েখ হাসান বিন আলী আস-সাক্কাফ قاموس شتائم الألباني وألفاظه المنكرة في حق علماء الأمة وفضلائها وغيرهم ১১. শায়েখ হাসান বিন আলী আস-সাক্কাফ, “البشارةُ والإتحاف فيما بين ابن تيمية والألباني في العقيدة من الاختلاف” আমরা এখানে সামান্য কয়েকটি কিতাবের নাম উল্লেখ করেছি। শায়েখ নাসীরুদ্দিন আলবানীর ভ্রান্ত বিষয়গুলির সম্পর্কে যুগশ্রেষ্ঠ অধিকাংশ আলেম স্বতন্ত্র কিতাব লিখেছেন। “সাবাতু মুয়াল্লাফাতিল আলবানী”এর গ্রন্থকার এ ধরণের ৫৭ টি কিতাবের নাম উল্লেখ করেছেন। এ সমস্ত গ্রন্থে শায়খ নাসীরুদ্দিন আলবানীর ভ্রান্তিগুলো আলোচনা করা হয়েছে। বিখ্যাত সালাফী আলেমদের মধ্যে যারা শায়েখ নাসীরুদ্দিন আলবানী i এর এ সমস্ত ভ্রান্ত বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছেন, তাদের কয়েকজনের নাম নিচে উল্লেখ করা হল- ১. শায়েখ আব্দুল্লাহ বিন বায i । ২. শায়েখ হামুদ বিন আব্দুল্লাহ i । ৩. ড. বকর বিন আব্দুল্লাহ আবু যায়েদ। ৪. শায়েখ আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ আদ-দাবীশ i ৫. সফর বিন আব্দুর রহমান। ৬. মুহাদ্দিস আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান সা’আদ। ৭. শায়েখ আব্দুল্লাহ বিন মা’নে আল-উতাইবি। ৮. শায়েখ ফাহাদ বিন আব্দুল্লাহ আস-সুনাইদ। ৯. আবু আব্দুল্লাহ মুস্তফা আল-আদাবী। জামেয়াতুল ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাউদ এর দাওয়া বিভাগের প্রধান ড.আব্দুল আযীয আল-আসকার শায়েখ নাসীরুদ্দিন আলবানী i এবং তাঁর অনুসারীদের সম্পর্কে লিখেছেন, الألباني واتباعه ليسوا سلفية “ আলবানী এবং তার অনুসারীরা মূলতঃ সালাফী নয়” অর্থাৎ এরা সালাফী (পূর্ববর্তীদের অনুসারী) হওয়ার দাবী করে কিন্তু বাস্তবে এরা সালাফী নয়। সাউদী আরবের প্রধান মুফতী আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ বিন বায এর নাছির উদ্দীন আলবানী সম্পর্কে অভিমত (ক) خطأ ظاهر ، لم يسبقه إليه أحد فيما نعلم من أهل العلم ، وهو مخالف للأحاديث الصحيحة …. নাছির উদ্দীন আলবানী এমন প্রকাশ্য ভুল করেছেন যাহা আমাদের জানা মতে পূর্বের কোন আলেম এমনটি করেননি। তিনি আরো বলেন- আলবানী সাহেব ছহীহ হাদীস সমূহের বিরোধিতাকারী। -সূত্র: সালাসু রাসায়েল ফিসসালাত : ইবনে বাজ ১/২৮ (খ) قد يصحِّح بعض الأحاديث ويخطئ، وقد يضعِّف ويخطئ؛ কখনো তিনি ছহীহ হাদীসকে জয়ীফ/দূর্বল বলে ভুল করেন, আবার কখনো দূর্বল হাদীসকে তিনি ছহীহ বলে ভুল করেন। -সূত্র : দরুস ইবনে বাজ : ১১/২৬, ২. মাজমুআয়ে ফতুয়া ইবনে বাজ : ২৫/৭১ আল্লাহ তাআলা বিতর্কিত গবেষকদের বিভ্রান্তিকর গবেষণা থেকে উম্মতে মুসলিমাকে হিফাযত করুন। লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

- والله اعلم باالصواب -

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ১২ জানু, ২২