মহিলা কলেজে শিক্ষকতা করার হুকুম কি

আহলে হ্বক বাংলা মিডিয়া সার্ভিসজায়েয-নাজায়েয১৬ মে, ২১

প্রশ্ন

আমি একটি কলজেে চাকরি করি। কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদরে এক সাথে পড়াতে হয়। র্পদা করা ইসলামরে একটি জরুরি বধিান। এখন কলজেে চাকরি করতে গলেে তো র্পদার খেলাফ হয়। আমার চাকররি বয়স শেষ। অন্য কোন হালাল রজিকি এর কোন আর ব্যবস্থা নাই। এই অবস্থায় আমি কি করতে পারি? ইসলামে এ ব্যাপারে কী বিধান আছে?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

ইসলামে র্পদা নামায, রোজার মতই জরুরী একটি বিধান। এটি লঙ্ঘন করা জায়জে নয়। তাই যদি শুধু ছাত্রদের পড়ানোর কোন সুবিধা না করতে পারনে, তাহলে উক্ত চাকরিটি ছেড়ে অন্যত্র চাকরি খুঁজুন। হুট করইে ছেড়ে দিবেন না, বরং আগে ভাল করে খুঁজ নিন, এরচয়েে কম সুবিধার চাকরি হলেও এটি ছেড়ে দিন। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আপনার রিজেকে বরকত দিবেন।

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ وَمَا كَانَ لَكُمْ أَنْ تُؤْذُوا رَسُولَ اللَّهِ وَلَا أَنْ تَنْكِحُوا أَزْوَاجَهُ مِنْ بَعْدِهِ أَبَدًا إِنَّ ذَلِكُمْ كَانَ عِنْدَ اللَّهِ عَظِيمًا • আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লা c -এর স্ত্রীগণরে কাছে কিছু চাইলে র্পদার আড়াল থকেে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধকিতর পবত্রিতার কারণ। -সূরা আহযাব-৫৩

বিখ্যাত তাফসীরবীদ ইমাম কুরতুবী i উক্ত আয়াতের আলোচনায় বলেত, উক্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা রাসূলুল্লাহ c -এর স্ত্রীদের কাছে কোনো প্রয়োজনে পর্দার আড়াল থেকে কিছু চাওয়া বা কোনো মাসআলা জিজ্ঞাসা করার অনুমতি দিয়েছেন। সাধারণ নারীরাও উপরোক্ত হুকুমের অর্ন্তভুক্ত। -তাফসীরে কুরতুবী, ১৪/১৪৬

নবী করীম c -এর স্ত্রীগণ হলেন সকল মুমিনদের মা। অথচ তাঁদের সাথেই লেনদেন বা কথা-র্বাতা বলতে হলে র্পদার আড়াল থেকে করতে বলা হয়েছে। তাহলে অন্যান্য সাধারণ বেগানা নারীদের ক্ষেত্রে হুকুমটি কত গুরুত্বর্পূণ হওয়া উচিত তা তো সহজেই অনুমেয়।

عن جابر بن عبد الله قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم أيها الناس اتقوا الله وأجملوا في الطلب . فإن نفسا لن تموت حتى تستوفي رزقها وإن أبطأ عنها . فاتقوا الله وأجملوا في الطلب • হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ e থেকে বর্ণিত। রাসূল c ইরশাদ করছেন, হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহ তাআলাকে ভয় কর! এবং উর্পাজনে উত্তম পন্থা অবলম্বন কর। কেননা, কোন ব্যক্তি ততক্ষণ র্পযন্ত মৃত্যুবরণ করবে না, যতক্ষণ না তার রিজিক শেষ হয়। যদিও তা ধীরে ধীরে হয়। তাই আল্লাহ তাআলাকে ভয় পাও! এবং উর্পাজনে উত্তমপন্থা অবলম্বন কর। -সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২১৪৪; মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-২৯১৪; মুসনাদুশ শিহাব, হাদীস নং-১১৫২

- والله اعلم باالصواب -

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ১৬ মে, ২১