মসজিদের স্থানে ঈদগাহ নির্মাণ করার হুকুম কি

আহলে হ্বক বাংলা মিডিয়া সার্ভিসমসজিদ-মাদ্রাসার বিধান১৪ মে, ২১

প্রশ্ন

পুরাতন মসজিদ ভেঙ্গে পার্শবর্তী স্থানে নতুন মসজিদ নির্মাণ করা কি জায়েজ? মসজিদ ভাঙ্গার কারণ হলো, অবকাঠামোগত দুর্বল, মুসল্লীদের জায়গা সংকুলান হয় না। এবং ভেঙ্গে ফেলা মসজিদের জায়গায় ঈদগাহ নির্মাণ করা যাবে কিনা?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

যদি কোন মসজিদ এমন হয়, তাকে সম্প্রসারণ করা সম্ভব নয়, তাহলে উক্ত মসজিদে যদি মুসল্লি সংকুলান না হয়, তাহলে প্রয়োজনে পাশে আরেক মসজিদ বানানো জায়েজ আছে। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, যেন প্রথম মসজিদটি একদম বিরান না হয়ে যায়। কিন্তু প্রথম মসজিদটিকেই যদি সম্প্রসারণ করে বড় করা সম্ভব হয়, তাহলে সেটিকে পরিত্যক্ত বানিয়ে পাশে আরেকটি মসজিদ নির্মান করা জায়েজ হবে না। তবে যদি বানায়, তাহলে সেটিও মসজিদ হয়ে যাবে, বাকি প্রথম মসজিদটিকে প্রয়োজন ছাড়া বিরান করার কারণে সংশ্লিষ্ট সবাই গোনাহগার হবে।

সুতরাং যে মসজিদটি ছোট হওয়ার কারণে স্থান সংকুলান হচ্ছে না, অবকাঠামো দুর্বল হওয়ার কারণে ধ্বসে পড়ার ভয় চলে এসেছে, সেটিকে ভেঙ্গে শক্তিশালী ফাউন্ডেশন দিয়ে সম্প্রসারিত আকাড়ে নির্মাণ করা সম্ভব। তাই অযথাই এ মসজিদকে বিরান করার কোন মানে হয় না। নতুন মসজিদ নির্মাণে যে ব্যয় হবে, সেটি দিয়েই পুরাতন মসজিদ আগের স্থানেই পুনঃনির্মাণ করে নেয়া উচিত।

আর মসজিদকে সম্পূর্ণ বিরান করে ঈদগাহ বানানো জায়েজ নয়। তবে মসজিদে ঈদের নামায পড়া জায়েজ। যদি উক্ত মসজিদে নিয়মিত নামায পড়া হয়, তাহলে ঈদের সময় প্রয়োজনে ঈদের নামায উক্ত মসজিদে পড়াতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু পূর্ণ মসজিদকেই মসজিদের হালাত থেকে পাল্টে একেবারে ঈদগাহ বানিয়ে ফেলা জায়েজ হবে না মসজিদটিকে বিরান করে দেয়া এবং তার সম্মানহানী করার কারণে।

وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ مَنَعَ مَسَاجِدَ اللَّهِ أَنْ يُذْكَرَ فِيهَا اسْمُهُ وَسَعَى فِي خَرَابِهَا • এর চেয়ে বড় জালেম আর কে আছে যে আল্লাহ তাআলার ঘরে জিকির করতে বাঁধা দেয় আর সেটিকে বিরান করতে চেষ্টা করে? -সূরা বাকারা-১১৪

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • ফাতাওয়া মাহমুদিয়া, খন্ড: ২১, পৃষ্ঠা: ১৩০
  • الفتاوى الهندية, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৪৫৬
  • حلبى كبير, পৃষ্ঠা: ৬১৪
  • خلاصة الفتاوى, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৪২১
  • الكشاف عن حقائق غوامض التنزيل, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ২১৪
  • الكشاف عن حقائق غوامض التنزيل, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১০৭
  • تفسير روح المعانى, খন্ড: ১১, পৃষ্ঠা: ২১
  • تفسير قرطبى, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১৭৫
  • تفسير المراغى, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১৯৮
  • تفسير بيضاوى, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৩৮৬

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ১৪ মে, ২১