বৃদ্ধা মাতাকে রেখে হজ্জে যাওয়া

ইসলামী জিন্দেগীহজ্জ১৯ ফেব, ২১

প্রশ্ন

আমার মাতা বর্তমানে তাঁর জীবনের শেষ সময় অতিক্রম করছেন। বর্তমানে তাঁর বয়স একশ বছরের উপরে। তাঁর একাকী চলাফেরার ক্ষমতা নেই। সার্বক্ষণিকভাব তাঁর সাথে কাউকে থাকতে হয়। দীর্ঘদিন থেকেই উনি এই অবস্থায় আছেন এবং বর্তমানে উনি আমার সাথেই আছেন। এই বৎসর আমি, আমার বড় বোন ও বড় ভাইসহ হজ্জ করার নিয়্যত করেছি। আমার মায়ের এই অবস্থায় আমাদের হজ্জ করায় শরী‘আতের দিক থেকে কোন বাধা আছে কি-না? তা জানালে বাধিত হব। এখানে উল্লেখ্য যে, আমরা যে তিন ভাই-বোন হজ্জে যেতে চাচ্ছি তারা ছাড়া আম্মার সেবা-যত্নের জন্য আমার অন্যান্য ভাই-বোন এবং আত্মীয়-স্বজন আছেন।

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ব্যক্তি, যে নিজ দেশ হতে মক্কা মোকাররমা পর্যন্ত যাতায়াত করতে সক্ষম এবং হজ্জ হতে ফিরে আসা পর্যন্ত নিজের এবং আপন পরিবার বর্গের আবশ্যকীয় ব্যয় বহন করতে সমর্থ, এমন সম্পদশালী ব্যক্তির উপর হজ্জ ফরয। আর মহিলাদের উপর হজ্জ ফরয হওয়ার জন্য আরো একটি অতিরিক্ত শর্ত হচ্ছে তাদের সাথে স্বামী বা কোন দ্বীনদার মাহরাম আত্মীয় থাকা।

হজ্জ ফরয হয়ে যাওয়ার পর ঐ বৎসর হজ্জে যাওয়া ওয়াজিব। শরয়ী উযর ব্যতিত দেরী করা জায়িয নয়। আর কারো পিতা-মাতা যদি এমন হন যে, খেদমতের মুখাপেক্ষী এবং একমাত্র সে-ই তাদের খাদিম, অন্য কেউ তাদের খেদমত করার মত না থাকে, তাহলে সেই সুরতে পিতা-মাতার অনুমতি ছাড়া তার জন্য হজ্জে যাওয়া মাকরূহ হবে। আর আপনার মায়ের খিদমত করার জন্য যেহেতু আপনার আরো ভাই-বোন বা আত্মীয় স্বজন বা খাদিম ইত্যাদি আছে। তাই আপনার এই বৎসরেই হজ্জ করতে শরী‘আতের দৃষ্টিতে কোন বাধা নেই। বরং করে নেয়াই জরুরী।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • আদ্দুররুল মুখতার মা’আশ শামী, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৪৫৬
  • আদ্দুররুল মুখতার মা’আশ শামী, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৪৬৪
  • ফাতাওয়া দারুল উলূম, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৫৩৮

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ১৯ ফেব, ২১