বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার জন্য শর্তসমূহ

আহলে হ্বক বাংলা মিডিয়া সার্ভিসবিবাহ-তালাক১২ মে, ২১

প্রশ্ন

একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ফরয শর্ত গুলি কি কি? যেমন সাক্ষি, দেনমোহর ধার্য্য আর কি কি? যদি এমন হয়, বিয়ের সব শর্তগুলিই ঠিক আছে কিন্তু যখন কনের এজাজত (কবুল) আনতে যাওয়া হল, কাজী কনেকে বললো অমুক গ্রামের অমুক ছেলের সাথে এত টাকা দেনমহর ধার্য্য করে কনে মুখে কবুল বললো কিন্তু মনে মনে তখন সে অন্য খেয়ালে ছিল কাজী কি বলছে সেদিকে তার খেয়াল নেই। এক্ষেত্রে বিয়ের কোন সমস্যা হবে কিনা?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্ত হল মৌলিকভাবে দু’টি। যথা-

১. ইজাব কবুল হওয়া

২. দুইজন মুসলিম প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ বা একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ও দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলা উক্ত ইজাব কবুল স্বকর্ণে শুনা

ব্যস উক্ত দু’টি শর্ত পাওয়া গেলেই বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যায়। ব্যাখ্যা স্বামী স্ত্রীকে ইজাব তথা প্রস্তাব দিবে বা কোন ব্যক্তিকে উকিল বানিয়ে স্বামীর পরিচয় ও দেনমোহর উল্লেখ করে প্রস্তাব দিবে, আর স্ত্রী সেই প্রস্তাবকে কবুল করবে। কিংবা স্ত্রী নিজে স্বামীকে প্রস্তাব দিবে আর স্বামী তা কবুল করবে, কিংবা স্ত্রীর অনুমতিক্রমে তার উকীল গিয়ে স্বামীকে প্রস্তাব দিবে আর স্বামী তা কবুল করবে। আর উক্ত প্রস্তাব এবং কবুল বলার বিষয়টি উপস্থিত থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক দুইজন মুসলিম পুরুষ বা একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ও দুইজন মহিলা স্বকর্ণে শুনবে। তাহলেই শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে।

বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ (যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়) এমন দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল বলার উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। -আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮

বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার পর কনে বা বর কবুল বলার সময় মন অন্য দিকে থাকার পরও যদি স্বাক্ষীদের সামনে মুখে কবুল বলে থাকে, তাহলে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাবে। কোন সমস্যা নেই। হযরত আবূ হুরায়রা e থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল c ইরশাদ করেছেন, তিনটি বিষয় এমন যেগুলোর যথার্থ তো যথার্থই এমনকি সেগুলোর কৌতুকের ব্যবহারও যথার্থ, তাহলো, বিবাহ, তালাক, রাজআত।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং: ১,১৮৪
  • সুনানে সাঈদ বিন মানসূর, হাদীস নং: ১,৬০৩
  • সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং: ২,০৩৯
  • সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং: ২,১৯৪
  • তাহাবী শরীফ, হাদীস নং: ৪,৬৫৪
  • সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং: ৩,৬৩৫

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ১২ মে, ২১