বিধর্মীদের দোকান ও বাড়ি ভাড়া দেয়ার হুকুম কি

আহলে হ্বক বাংলা মিডিয়া সার্ভিসভাড়া-লিজ৯ মে, ২১

প্রশ্ন

১. বিধর্মীদেরকে ঘর/দোকান ভাড়া দেয়া জায়েজ কিনা? (আর এটাতো জানা ওদের উপার্জনের অধিকাংশ হারামের উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে)

২. যদি আমি অমুসলিমকে ভাড়া দিতে না চাই তাহলে ভাড়া নিতে আসা বিধর্মীদের সাথের আমার কথাবার্তার ধরণ কীভাবে হবে? অর্থাৎ কীভাবে তাদেরকে ফিরিয়ে দিবো? (মানবতার খাতিরে মুখের উপর না ও করা যায় না) নাকি সাইনবোর্ডে স্পষ্ট করে লিখে দিবো, “শুধু মুসলমানদের জন্য”আর এভাবে সীমাবদ্ধ করাটা কি ইসলাম সমর্থন করে?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

বিধর্মীদের বসবাসের ঘর বা ব্যাবসা করার জন্য দোকান ভাড়া দেয়াতে কোন সমস্যা নেই। সম্পূর্ণ জায়েজ। এতে হীনমন্যতা বা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগার কোন প্রয়োজন নেই। বিধর্মী প্রতিবেশী হলে প্রতিবেশির হক সেও পাবে। অযথা তাকে কষ্ট দেয়া, পেরেশান করা জায়েজ নয়। বিধর্মী বলেই তার সাথে খারাপ ব্যবহার করার কোন বিধান ইসলামী শরীয়তে নেই। রাসূল c অসুস্থ্য বিধর্মীদেরও দেখতে যেতেন। তাই বিধর্মী বলেই তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করতে হবে এমন ধারণা করা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এমন ধারণা সবারই পরিহার করতে হবে।

হ্যাঁ, মন্দির, গীর্জা, পূজা মন্ডপ ইত্যাদি তৈরীর জন্য স্থান ভাড়া দেয়া কোন মুসলিমের জন্য জায়েজ হবে না। কিন্তু এমনিতে বসবাস বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য বিধর্মীদের ঘর ভাড়া দেয়াতে কোন সমস্যা নেই। إِنَّمَا يَنْهَاكُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذِينَ قَاتَلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَأَخْرَجُوكُمْ مِنْ دِيَارِكُمْ وَظَاهَرُوا عَلَىٰ إِخْرَاجِكُمْ أَنْ تَوَلَّوْهُمْ ۚ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ • আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেছে এবং বহিস্কারকার্যে সহায়তা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাই জালেম। -সূরা মুমতাহিনা, ৮

এক ইহুদী কিশোর নবী c -এর খেদমত করত। সে অসুস্থ হয়ে পড়লে নবী c তাকে দেখতে গেলেন এবং তাকে ইসলামের দাওয়াত দিলেন। তখন সে মুসলমান হয়ে গেল। -সহীহ বুখারী, হাদীসঃ ১৩৫৬, ৫৬৫৭ وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ • সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। -সূরা মায়িদা, ২

- والله اعلم باالصواب -

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ৯ মে, ২১