বিধর্মী রাষ্ট্রে বসবাসের হুকুম কি

আহলে হ্বক বাংলা মিডিয়া সার্ভিসজায়েয-নাজায়েয১৩ এপ্রিল, ২৩

প্রশ্ন

কুরআন-হাদীসের যেসব জায়গায় কাফির এবং মুশরিক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, সেসব জায়গার হুকুমে কি ইয়াহুদি-খ্রিস্টানরা অন্তর্ভুক্ত? নাকি আহলে কিতাব হিসাবে তাদের আলাদাভাবে বিবেচনা করতে হবে? অথবা ক্ষেত্রবিশেষে দুইটাই হতে পারে? যেমন হাদীসে মুশরিকদের সাথে বসবাস করতে নিষেধ করা হয়েছে দেখিয়ে এক ভাই বললেন ইউরোপ-আমেরিকায় থাকা যাবে না।

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

বর্তমান ইহুদী খৃষ্টান ও পৌত্তলিকদের মাঝে মৌলিক পার্থক্য খুঁজে পাওয়া দুস্কর। তাই এদের সবার একই হুকুম। কাফের হল যে দ্বীনে শরীয়তের কোন আবশ্যকীয় বিষয়কে অস্বিকার করে। আর মুশরিক হল যিনি আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরীক করে। এ হিসেবে ইহুদী ও খৃষ্টানরা কাফের। কারণ তারা রাসূল c কে শেষ নবী মানে না। সেই সাথে ঈসা কে আল্লাহর সন্তান এবং স্রষ্টা বিশ্বাস করে খৃষ্টানরা পৃথিবীর সবচে’ জঘন্য মুশরিক সাব্যস্ত হয়। তাই তারা কাফের এবং মুশরিক। এখন প্রশ্ন হল তাদের প্রতিবেশি হয়ে বসবাস করার হুকুম কি? বা এসব কাফেরদের রাষ্ট্রে বসবাস করার হুকুম কি? যদি তাদের সাথে বসবাসের দরূন মুসলমানদের দ্বীনী ক্ষতি হয় তথা তাদের আমল ও আকিদায় খারাবী আসার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে তাদের প্রতিবেশি হয়ে বা তাদের রাষ্ট্রে বসবাস করা জায়েজ নয়। কিন্তু যদি দ্বীনী কোন সমস্যা তথা ঈমান ও আমলে, আকিদায় কোন খারাবী না আসার দৃঢ়তা থাকে, তাহলে কুফরী রাষ্ট্রে বসবাস করতে বা তাদের প্রতিবেশি হয়ে থাকাতে কোন সমম্যা নেই। -ফিক্বহী মাক্বালাত-১/২৩২ কিন্তু যদি তাদের সাথে মিশে নিজের ঈমান ও আমলের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে, বা মুসলিম রাষ্ট্রে বসবাসের থেকে বিধর্মী রাষ্ট্রে বসবাসকে উত্তম ও গর্বের বিষয় মনে করে তাহলে কুফরী রাষ্ট্রে বসবাস করা জায়েজ নয়।

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من جامع المشرك وسكن معه فانها مثله، (سنن ابو داود، كتاب الجهاد، باب فى الاقامة بارض المشرك-2/385) من تشبه بقوم فهو منهم (مشكاة المصابيح، كتاب اللباس، الفصل الثانى-2/375

- والله اعلم باالصواب -

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ১৩ এপ্রিল, ২৩