ফজরের নামায কাযা পড়ার নিয়ম

ইসলামী জিন্দেগীনামায২৪ ফেব, ২১

প্রশ্ন

আমি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করি। কিন্তু প্রায় সময়েই ফজরের নামায যথাসময়ে বা জামা‘আতের সাথে আদায় করতে পারি না। তার প্রথম কারণ হল-ঘুম, দ্বিতীয়তঃ শারীরিক নাপাকী। এখন কথা হলো- ফজরের নামায সূর্যোদয়ের পর আদায় করলে কি নিয়মে পড়তে হবে? কাযা নিয়ত করতে হবে কি? ঘুম থেকে জাগার সাথে সাথে বা নাপাকী থেকে পবিত্র হওয়ার সাথে সাথে যদি আদায় করি (সূর্যোদয়ের পর), তাহলে কি কাযা পড়তে হবে?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

ঘুমের কারণে প্রতিদিন ফজরের নামায কাযা হবে- এটা শরী‘আতের দৃষ্টিতে কোন গ্রহণযোগ্য উযর নয়। কারণ ঘুম থেকে উঠার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ কোন কঠিন ব্যাপার নয়। এর জন্য উচিত যে, যাদের উঠতে কষ্ট হয়, তারা রাত্রে একটু আগে ভাগেই নিদ্রা যাবে এবং ফজরের সময় উঠার জন্য এলার্ম ঘড়ি ব্যবহার করবে বা আশে পাশের লোকজনকে ডেকে দেয়ার জন্য অনুরোধ করবে। এটা অত্যন্ত দুঃখ জনক যে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য অনেকে সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারে না। কিন্তু দুনিয়াবী বিশেষ দরকারে বা নিজের কলিজার টুকরো সন্তানদিগকে খৃষ্টানদের স্কুলে পড়ানোর জন্য ইংরেজ ও খোদার দুশমনদের হাতে পৌঁছে দিয়ে তাকে জাহান্নামে পৌঁছানোর ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করার জন্য ফজরের কয়েক ঘন্টা আগে জেগে রেডী হতেও কোন কষ্ট বোধ করে না। বরং খুশি থাকে। আবার অনেকে চাকুরী রক্ষার জন্য অনেক আগে ঘুম থেকে উঠে পড়ে। অনেকে দূরে কোথাও যেতে যানবাহন ধরার জন্য খুব ভোরে উঠে। এগুলো কিভাবে সম্ভব হয়? আল্লাহর সন্তুষ্টি কি গান্ধা দুনিয়া থেকে নিম্নমানের হয়ে গেল? নাপাকীর প্রশ্নও অনর্থক। কারণ নামাযের ১৫/২০ মিনিট আগে উঠেও পাক হওয়া সম্ভব। সুতরাং সর্বাবস্থায়ই আপনাকে ফজরের পূর্বেই উঠতে হবে এবং এর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরেও যদি কদাচিৎ কখনোও ঘুম না ভাঙ্গে এবং সূর্যোদয়ের পরে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার ঘটনা ঘটে যায়, তাহলে এমন অবাঞ্ছিত পরিস্থিতিতে সূযোদয়ের পর কাযা পড়া ছাড়া আর কোন ব্যবস্থা নেই।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • মুসলিম শরীফ, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ২৩৮

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২৪ ফেব, ২১