প্রস্রাব হতে জায়গা পাক করার পদ্ধতি

ইসলামী জিন্দেগীপবিত্রতা২২ ফেব, ২১

প্রশ্ন

ক. নীচতলার পাকা মেঝেতে ছোট বাচ্চা প্রায়ই প্রস্রাব করে দেয়। ফলে মেঝে নাপাক হয়ে যায়। এখন উহা পাক করার পদ্ধতি কি?

খ. উক্ত জায়গাটি তাৎক্ষণিকভাবে পাক করার সহজ তরীকা কি হতে পারে? আর যদি পানি সেখান থেকে গড়িয়ে বের করার কোন পথ না থাকে তাহলে জায়গাটি পাক করার উপায় কি হবে?

গ. উযু করার পর ভেজা পায়ে ঐ মেঝেতে হাঁটলে পায়ের তলা কি নাপাক হবে?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

ক. পাকা ঘরের মেঝের নাপাক স্থানটুকু শুকনা বা ভেজা কাপড় দ্বারা মুছে দেয়ার পর যদি বাতাসে বা রোদে শুকিয়ে নাপাকীর চিহ্ন দূর হয়ে যায়, তাহলে ঐ স্থানটুকু পাক হয়ে যাবে। তবে নাপাকীর সামান্য চিহ্ন থাকলেও তা পাক হবে না। এজন্যে প্র্রথমে প্রস্রাবটুকু মুছে নিয়ে একটি পাক কাপড় ভিজিয়ে উক্ত জায়গাটা প্রাথমিকভাবে ২/৩ বার মুছে নিবে, যাতে শুকিয়ে যাওয়ার পর প্রস্রাবের দু্র্গন্ধ বা চিহ্ন না থাকে।

খ. পাকা মেঝে বা ফ্লোর নাপাক হয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তা পাক করার সহজ পদ্ধতি হল, নাপাক জায়গায় পানি ঢেলে ভালভাবে ঝাড়ু দিয়ে ধুয়ে ‍দিবে এভাবে তিনবার ধুয়ে নিলে জায়গাটা পাক হয়ে যাবে। আর যদি পানি গড়িয়ে বের করার ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে প্রথমে একটি শুকনো বা ভেজা কাপড় দিয়ে প্রস্রাবটুকু মুছে দিবে। অতঃপর কাপড়টি ভাল করে ধুয়ে নাপাক জায়গাটা আবার মুছে দিবে। এক্ষেত্রে প্রতি বারই নতুন পানি ব্যবহার করবে। এভাবে তিনবার পাক কাপড় দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিলে জায়গাটা পাক হয়ে যাবে। উল্লেখ্য যে, নিচতলা এবং উপরতলার হুকুমের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।

গ. উল্লেখিত নিয়মাবলীর কোন এক নিয়মে নাপাক জায়গা পাক হয়ে যাওয়ার পর সেখানে ভিজা পায়ে হাঁটলে পা নাপাক হবে না। আর যদি উক্ত জায়গাটি উপরে বর্ণিত পদ্ধতিতে পাক না করা হয়ে থাকে, তাহলে সেখানে খালি পায়ে হাঁটলে নাপাক হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে নামায পড়তে হলে, পা দ্বিতীয়বার ধুয়ে নিতে হবে।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • আবু দাউদ শরীফ, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৫৫
  • আদ-দুররুল মুখতার, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৩১১
  • খাইরুল ফাতাওয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১৫০
  • ফাতাওয়া দারুল উলূম, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৩৩২
  • ফাতাওয়া হিন্দিয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৪৪
  • আহসানুল ফাতাওয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৯২
  • রদ্দুল মুহতার, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৩১৩
  • ফাতাওয়া আলমগীরী, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৪৩
  • হিন্দিয়া, পৃষ্ঠা: ৫৩
  • হালবী কাবীর, পৃষ্ঠা: ১৫৬

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২২ ফেব, ২১