প্রচলিত নিয়মে জমি বর্গা দেওয়া

মাসিক আল কাউসারবন্ধক আমানত১৩ মার্চ, ২১

প্রশ্ন

আমাদের দেশের বাড়ির সব জমি বর্গা দেওয়া। বর্গাদার ফসলের অর্ধেক পায় আর আমরা অর্ধেক। বর্গাদারের চাষাবাদ বাবদ কোনো খরচ আমরা দিই না। এটাই প্রচলিত নিয়ম। সাধারণত বছরে ২ বার ধান চাষ হয় এবং নতুন ধান ওঠার আগ পর্যন্ত পুরানো ধান বিক্রি করা হয় না। নতুন ধান উঠলে পুরানো ধান বিক্রি করে নতুন ধান গোলায় রাখা হয়। নতুন ধান ঘরে উঠতে প্রায় ৫-৬ মাস সময় লেগে যায়। এখন জানার বিষয় হল :

ক. কোনো খরচ না দিয়ে বর্গা দেওয়ার বিধান কী?

খ. ধান ঘরে প্রায় ৫-৬ মাস থাকে। তারপর বিক্রি করা হয়। এটা মজুদদারীর পর্যায়ে পড়ে কি?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

ক. হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত পদ্ধতিতে বর্গা দেওয়া জায়েয। জমির মালিকের জন্য বর্গা কারবারে খরচ দেওয়া জরুরি নয়। জমি মালিকের শুধু জমি আর চাষীর খরচ ও শ্রম এভাবে বর্গা চুক্তি বৈধ।

খ. প্রাপ্ত ফসল এভাবে রেখে দেওয়া নাজায়েয নয় এটা শরীয়তে নিষিদ্ধ মজুদদারীর অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে খাদ্যসঙ্কটের সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত ফসল বিক্রি না করে রেখে দেওয়া ঠিক নয়।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • সহীহ মুসলিম, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১৪
  • হিদায়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৪২৬
  • বাদায়েউস সানায়ে, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ২৬০
  • আদ্দুররুল মুখতার, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ২৭৮
  • ফাতহুল কাদীর, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৩৮৯
  • আলমুহীতুল বুরহানী, খন্ড: ১৮, পৃষ্ঠা: ৩৫২
  • ফাতাওয়া হিন্দিয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ২১৪
  • হিদায়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৪৭১
  • বাদায়েউস সানায়ে, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৩০৯
  • আলমুগনী ইবনে কুদামা, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৩১৬
  • ফাতহুল কাদীর, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৪৯২
  • আদ্দুররুল মুখতার, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৩৯৯

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ১৩ মার্চ, ২১