পরকালে অমুসলিমদের নাজাত

ইসলামী জিন্দেগীবিবিধ৮ ফেব, ২১

প্রশ্ন

অমুসলিম যদি উন্নত চরিত্রের অধিকারী হয় এবং সমাজ সেবামূলক কাজ করে, তাহলে সে পরকালে নাজাত পাবে কি-না?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

পরকালের নাজাত পাওয়ার বিষয়টি ঈমানের সাথে সম্পৃক্ত। সুতরাং যদি কেউ ঈমান ব্যতীত দুনিয়া হতে বিদায় গ্রহণ করে তাহলে যত ভালো কাজই করে থাকুক না কেন সে নাজাত পাবে না। কেননা, আল্লাহ্‌ পাক পবিত্র কুরআন ইরশাদ করেছেন-

إِنَّ الدِّين: عِنْدَ اللَّهِ الْإِسْلَامُ

“নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ তা‘আলার দরবারে গ্রহণযোগ্য ধর্ম একমাত্র ইসলাম।” (সূরাহ আল-ইমরান)

অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে-

وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ

“যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম গ্রহণ করে কষ্মিনকালেও তা তার থেকে গ্রহণ করা হবে না। আর আখিরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত।” [সূরা আলে ইমরান- ৮৫]

একটি উদাহরণ দ্বারা উক্ত বিষয়টি আরো স্পষ্ট রূপে বুঝা যাবে বলে আশা করি। যেমন, এক ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে। কিন্তু কোন কারণে সে আইন পরিপন্থী কাজ যেমন- জুয়া, চুরি, বা অসামাজিক কাজ ইত্যাদি করে বসে। তাহলে এরূপ ব্যক্তির অন্তরে যেহেতু রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থা রয়েছে তাই তার প্রতি দেশদ্রোহীর শাস্তি প্রয়োগ করা হবে না এবং তাকে দেশান্তরিত করাও হবে না। বরং তার শাস্তি হবে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। শাস্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুনরায় সে সরকারের অনুগত প্রজাদের অন্তর্ভুক্ত হবে। পক্ষান্তরে কোন ব্যক্তি যদি অত্যন্ত ভদ্র ও নম্র চরিত্রের অধিকারী হয় এবং কোন প্রকার অসামাজিক কাজে লিপ্ত না হয়। কিন্তু সরকারকে ও দেশকেই সে অমান্য করে তাহলে তাকে দেশদ্রোহী সাব্যস্ত করে দেশান্তরিত করা হবে অথবা ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হবে। ইসলামী আইনের বিষয়টি অনুরূপ।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • আশরাফুল জাওয়াব, পৃষ্ঠা: ৩৭৬
  • সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ৮৫

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ৮ ফেব, ২১