পবিত্র কুরআনের যের, যবর, পেশ ও নুকতার সূত্র

মাসিক আল কাউসারসভ্যতা ও সংস্কৃতি২৪ মার্চ, ২১

প্রশ্ন

আমাকে একজন বলেছেন, পবিত্র কুরআনের যের, যবর, পেশ ও নুকতা খলীফা হাজ্জাজ বিন ইউসুফ নিজ হাতে লিখেছেন। এ কথাটি আমার বোধগম্য হচ্ছে না। এত বড় অত্যাচারী শাসক এ মহৎ কাজের উদ্যোগ কীভাবে নিল? সত্যিই কি তিনি এই কাজ করেছেন?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

হযরত উসমান e যে মুসহাফ তৈরি করেছেন তাতে হরফসমূহে নুকতা ও হরকত যের, যবর ও পেশ ছিল না। পরবর্তীতে কে এই মহৎ কাজটি করেছেন-এ নিয়ে ঐতিহাসিকদের মাঝে মতভেদ আছে। তবে আল্লামা তকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুম ‘উলূমুল কুরআন’-এ বলেন, এ সম্পর্কিত সকল বর্ণনা সামনে রাখলে প্রতীয়মান হয় যে, হরকত (যের, যবর ও পেশ) সর্বপ্রথম হযরত আবুল আসওয়াদ দুয়ালী i আবিষ্কার করেন। কিন্তু হরকতের রূপ এখন যেমন দেখা যায় তেমন ছিল না। তখন ছিল ফোঁটার মতো। যবরের জন্য উপরে এক ফোঁটা দেওয়া হত, যেরের জন্য নিচে এক ফোঁটা আর পেশের জন্য সামনে এক ফোঁটা দেওয়া হত। তানভীনের জন্য দুই ফোঁটা ব্যবহৃত হত। এরপর খলীল বিন আহমদ i হামযাহ ও তাশদীদের বর্তমান রূপটি আবিষ্কার করেন। এরপর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ, ইয়াহইয়া বিন ইয়ামার i ও নাসর বিন আসেম i -এর মাধ্যমে কুরআনে কারীমে হরফসমূহে নুকতা লাগানোর ব্যবস্থা করেন। এই সময়ই মূলত নুকতা ও হরকতের পার্থক্যের উদ্দেশ্যে হরকতের বর্তমান রূপটি অবলম্বন করা হয়।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • আলইতকান, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৪১৯
  • সুবহুল আ‘শা, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১৬০
  • আলবুরহান, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ২৫০
  • উলূমুল কুরআন, পৃষ্ঠা: ১৯৫

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২৪ মার্চ, ২১