নামাযে বাজে চিন্তা আসলে করণীয় কী নামাযরত অবস্থায় ওজু চলে গেছে মনে হলে কী করবে

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

নামাযের বাহিরে খারাপ কথা মনে আসলেই কবর মৃত্যুর কথা স্মরণ করুন। সাথে এটা মনে রাখুন যে, কেউ না জানুক, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনার সব কাজ, সকল অনুভূতি শুনছেন, দেখছেন। বেশি বেশি করে বুজুর্গদের লেখা কিতাব পড়তে পারেন। যেমন আশরাফ আলী থানবী i এর লেখা কিতাব। হাকীম আখতার সাহেব i এর লেখা কিতাব। সাথে তাবলীগী কাজের সাথে বা হক্কানী কোন সংগঠন যেমন চরমোনাই হুজুরের ইসলামী আন্দোলন ইত্যাদির সাথে জড়িত হতে পারেন। দ্বীনী কাজে মগ্ন থাকলে ইনশাআল্লাহ দেখবেন এ সমস্যা দূরিভুত হয়ে যাবে। আর নামাযের মাঝে সুন্নতের প্রতি খেয়াল করে নামায পড়ুন, আর সাথে সাথে স্মরণ করুন যে আল্লাহ তাআলা আপনাকে দেখছেন। আপনি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কুদরতী পায়ে সেজদা করছেন। তাহলে নামাযে কু-ধারনা আসবে না আশা করি।

রাসূল c ইরশাদ করেছেন, أَنْ تَعْبُدَ الله كَأَنَّكَ تَرَاهُ ، فَإِنَّكَ إِنْ لا تَكُنْ تَرَاهُ • ইবাদত এমনভাবে কর, যেন তুমি আল্লাহকে দেখছো, যদি এমন হালাত না হয়, তাহলে জেনে নাও, আল্লাহ তাআলা তোমাকে দেখছেন। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪১২, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৪, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১২০, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫০, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৯ আর নামাযরত অবস্থায় যদি সুনিশ্চিতভাবে জানা না যায় যে, বায়ু বের হয়েছে। তাহলে নামায ছেড়ে দেয়ার কোন মানে হয় না। বায়ু বের হওয়ার নিদর্শন রাসূল c বলে দিয়েছেন দু’টি। তাহলো, হয়তো গন্ধ বের হবে। নতুবা আওয়াজ বের হতে হবে। এছাড়াও যদি সুনি শ্চিত ধারণা হয় যে, বায়ু বের হয়ে গেছে। তাহলেই কেবল নামায ছেড়ে অজু করতে হবে। শুধু ধারণার উপর নামায ছাড়া যাবে না।

أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ حَدَّثَهُ قَالَ رَأَيْتُ السَّائِبَ يَشُمُّ ثَوْبَهُ فَقُلْتُ لَهُ مِمَّ ذَاكَ فَقَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا وُضُوءَ إِلَّا مِنْ رِيحٍ أَوْ سَمَاعٍ • হযরত মুহাম্মদ বিন আমর বিন আতা বলেনঃ আমি একদা সায়েব বিন ইয়াজিদ e কে কাপড়ের ঘ্রাণ নিতে দেখে জিজ্ঞেস করলামৎ এটা কি? তখন তিনি বললেনঃ রাসূল c ইরশাদ করেছেনঃ অজু করা আবশ্যক হয় না বাতাস বা (বাতকর্মের) আওয়াজ ছাড়া। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৫৫০৬, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৫১২, মুসনাদুল হারেস, হাদীস নং-৮৩, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২৬২৭৭, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৭৯৯৮

- والله اعلم باالصواب -