নামায তরককারীর হুকুম

ইসলামী জিন্দেগীনামায২২ ফেব, ২১

প্রশ্ন

হুযূর পাক c বলেছেন, মুসলমান এবং কাফেরের মধ্যে পার্থক্য হলো নামায। মুসলমান নামায পড়ে, কাফেররা নামায পড়ে না। এজন্য আমার বক্তব্য হলো। আমাদের মধ্যে এমন অনেক লোক আছেন যারা নামায পড়েই না এবং আরো যে কত জঘন্য হারাম কাজের সাথে জড়িত তার কোন ইয়ত্তা নেই। তাহলে হুযূর পাক c -এর ভাষ্য অনুযায়ী এরা কি কাফের?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

কোন ব্যক্তি নামাযকে ফরয বিশ্বাস করার পরে যদি নামায তরক করে এবং অন্যান্য হারাম কাজকে হারাম জেনে দুনিয়ার কোন স্বার্থে হারাম কাজে লিপ্ত হয় তাহলে, সে ব্যক্তি কাফের হয় না। তবে এগুলোর জন্য সে মারাত্মক গুনাহগার এবং ফাসিক হবে।

আর উল্লেখিত হাদীসের অর্থ হল যে, কার্যক্ষেত্রে কাফের এবং মুসলমানের মধ্যে পার্থক্য হল নামায। কারণ, যে মুসলমান নামায পড়ে না বাহ্যিকভাবে তার মাঝে আর কাফেরের মাঝে সাধারণতঃ কোন পার্থক্য রইল না। তা সত্ত্বেও আক্বায়িদ সহীহ থাকলে তাকে কাফের বলা যাবে না। হ্যাঁ, কোন ব্যক্তি যদি নামাযকে অথবা ইসলামের কোন স্পষ্ট হুকুমকে সরাসরিভাবে অস্বীকার করে বা সন্দেহ করে বা ঠাট্টা করে বা আপত্তি করে তাহলে সে কাফেরের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • ইমদাদুল আহকাম, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১৩৩
  • মিশকাত, পৃষ্ঠা: ৫৮
  • আযীযুল ফাতাওয়া, পৃষ্ঠা: ৮৫
  • সূরা: নিসা, আয়াত: ৯৮

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২২ ফেব, ২১