নামায ও রোযার ফিদিয়া কখন কিভাবে আদায় করবে

আহলে হ্বক বাংলা মিডিয়া সার্ভিসনামায১৩ মে, ২১

প্রশ্ন

নামাজ ও রোজার ফিদইয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

নামাযের ফিদিয়াঃ

যদি কোন ব্যক্তি নামাযের কাযা আদায় না করেই মুমূর্ষ অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। কিংবা মারা যায়, তাহলে তার ইতোপূর্বের কাযা নামাযের ফিদিয়া দেয়ার বিধান আপতিত হয়। প্রতিদিনকার কাযা করা বিতরসহ ছয় ওয়াক্ত নামায হিসেব করে প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য পৌনে দুই সের গম বা আটা অথবা এর বাজার মূল্য গরীব মিসকিনকে মালিক বানিয়ে দান করে দিতে হবে। অথবা প্রতি ওয়াক্তের বদলে একজন গরীবকে দুই বেলা তৃপ্তি সহকারে খানা খাওয়াতে হবে। যা সদকায়ে ফিতির এর টাকা পরিমাণ হয়। -ফতাওয়া শামী-২/৭২

সহজ কথায়, প্রতিটি নামাযের জন্য সদকায়ে ফিতির পরিমাণ টাকা গরীবকে দান করে দিতে হবে। -রদ্দুল মুহতার, ২/৭২

রোযার ফিদিয়াঃ

যদি কাযা করা রোযা রাখা সুযোগ আর বাকি না থাকে এমন অসুস্থ্য হয়ে পড়ে, বা মারা যায়, তাহলে তার রোযার ফিদিয়া দেবার বিধান আপতিত হয়। এক্ষেত্রে প্রতি রোযার জন্য গরীবকে দুই বেলা খানা খাওয়াতে হবে। বা এর সমমূল্য দান করতে হবে। যার পরিমাণও সদকায়ে ফিতির পরিমাণ।

أَيَّامًا مَّعْدُودَاتٍ ۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۚ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ ۖ فَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَّهُ ۚ وَأَن تَصُومُوا خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ • গণনার কয়েকটি দিনের জন্য অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে, অসুখ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট দায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করবে। যে ব্যক্তি খুশীর সাথে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণ কর হয়। আর যদি রোজা রাখ, তবে তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পার। -সূরা বাকারা-১৮৩-১৮৪

- والله اعلم باالصواب -

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ১৩ মে, ২১